ASANSOLBengali News

বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় ব্যাপক বৃষ্টি, মাইথন, পাঞ্চেত ও দূর্গাপুর থেকে জল ছাড়ার পরিমান বাড়ালো ডিভিসি

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল, ৩০ সেপ্টেম্বরঃ মঙ্গলবার ভোর রাত থেকে আবহাওয়া খারাপ হতে শুরু করে। বুধবার সকাল থেকেই মেঘলা আবহাওয়ায় ঝিরিঝিরি বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইতে থাকে। বুধবার দুপুর থেকে আসানসোল শিল্পাঞ্চল জুড়ে শুরু হয় তুমুল বৃষ্টি। রাতে তা বলতে গেলে ভরাবহ চেহারা নেয়। বুধবার সারা রাত হয়ে সেই মুষলধারের বৃষ্টি বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত চলে।


এই বৃষ্টিতে মাইথন ও পাঞ্চেত ব্যারাজ বা জলাধারের জল বেড়ে যায়। ডিভিসি সূত্রে জানা গেছে, মাইথন ও পাঞ্চেত সংলগ্ন এলাকায় গত ২৪ ঘন্টায় ১৬০ থেকে ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সেই কারণে দুই ব্যারাজের জলস্তর বাড়তে বাড়তে বিপদ সীমা কাছে যাচ্ছে। এদিন ডিভিসি সূত্রে জানা গেছে, এদিন সকাল থেকে দুই ব্যারাজ থেকে ৩২ হাজার কিউসেক করে জল ছাড়া হচ্ছিলো। কিন্তু, তারপর প্রতি ঘন্টায় এক ফুট করে জল জমতে শুরু করে। এরপর ডিভিসি কতৃপক্ষ ব্যারাজ বাঁচাতে বাধ্য হয় দুপুরের পরে জল ছাড়ার পরিমান বাড়াতে। জানা গেছে, দুপুরের পর থেকে ১ লক্ষ কিউসেক করে জল ছাড়া শুরু করে ডিভিসি। বিকেল পাঁচটার শেষ খবর মাইথনে জল স্তর পৌঁছেছে ৪৮৫. ৫ ফুটে।

মাইথনের ব্যারাজের জল ধরে রাখার সর্বোচ্চ সীমা ৪৯৫ ফুট। অন্যদিকে, পাঞ্চেতের জলস্তর পৌঁছেছে ৪২৩ ফুটে। এখানে জলধারনের সর্বোচ্চ সীমা ৪৩৫ ফুট। ডিভিসি সূত্রে জানানো হয়েছে, মাইথনে ৪৯০ ও পাঞ্চেতে ৪৩০ ফুট পর্যন্ত জল ধরে রাখা যেতে পারে। তার বেশি নয়। তারপর জল ছাড়ার পরিমান বাড়াতে হবে। এছাড়াও বেশি জল ধরে রাখতে গেলে ব্যারাজের আশপাশের জমি জলমগ্ন হতে পারে। সেক্ষেত্রে জমির মালিকদের অনুমতি নিয়ে হবে। এদিকে, আরো জানা গেছে, মাইথনের ৫টি ও পাঞ্চেতের ৬টি গেট এদিন খোলা হয়।


অন্যদিকে, মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়ার পরিমান বাড়ায় দূর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার পরিমান বাড়াতে হয় ডিভিসিকে। বিকেলের শেষ খবর, দূর্গাপুর থেকে ২ লক্ষ ২২ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হবে। জানা গেছে, মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে ছাড়া জল দূর্গাপুর ব্যারাজে পৌঁছাতে ১০ থেকে ১২ ঘন্টার মতো সময় লাগে। দূর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার পরিমান বাড়ানোয় দামোদরের নিম্ন অববাহিকায় থাকা পূর্ব বর্ধমান, হুগলি ও হাওড়ার এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা রয়েছে।


ডিভিসির চীফ ইঞ্জিনিয়ার সত্যব্রত বন্দোপাধ্যায় এদিন বলেন, বাংলার রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলে সিডবলুসি বা সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের নির্দেশ মতো জল ছাড়া শুরু হয়েছে। ঝাড়খন্ডের দিকে বৃষ্টি হচ্ছে। এই এলাকায় বৃষ্টির পরিমান বাড়ালে জল ছাড়ার পরিমান বাড়াতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *