আসানসোলের কাল্লা ও দোমহানি রাস্তায় ফাটল, যান চলাচল বন্ধ, বন্ধ হয়েগেল বাংলা- ঝাড়খণ্ড সীমানায় অজয় নদের উপর তৈরি হওয়া সিধু কানু সেতুর যানচলাচল
বেঙ্গল মিরর, কাজল মিত্র :-অতিবৃষ্টির কারনে আসানসোলের কাল্লা ও দোমহানি রাস্তায় ফাটল দেখা দিয়েছে।শুক্রবার এই ঘটনা ঘটেছে।এই ফাটলের জেরে ওই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।এদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা।জানা গিয়েছে নিম্নচাপের টানা বর্ষণের জেরে আসানসোলের কাল্লা ও দোমহানি যাবার রাস্তার বেশকিছুটা অংশ বসে গিয়েছে।এমনকি রাস্তায় ফাটলও দেখা দিয়েছে।এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।এই ঘটনার পর ওই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।এমনকি এই রাস্তার উপর দিয়ে ইসিএলের কাল্লা হাসপাতাল যাবার পথ রয়েছে।ঘুরপথে দোমহানি ও কাল্লা হাসপাতাল যেতে হচ্ছে।এরফলে মানুষের সম্যসা হচ্ছে।এই প্রসঙ্গে এলাকার মানুষেরা বলেন 6 মাসে আগে কাল্লা ও দোমহানি রাস্তাটি তৈরি করা হয়েছিলো।তবে কিভাবে রাস্তাটি খতিগ্রস্থ হলো।যদিও এই প্রসঙ্গে পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন ইঞ্জিনিয়াররা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং আগামীকাল থেকে এই রাস্তার কাজ শুরু হয়ে যাবে।




অন্য়দিকে বন্ধ হয়েগেল বাংলা ঝাড়খণ্ড সংযোগস্থল চিত্তরঞ্জন শহরের সীমানায় অজয় নদের উপর তৈরি হওয়া সিধু কানু সেতুর যানচলাচল।
টানা তিনদিন ধরে গুলাম তুফানের দাপটে টানা বৃষ্টির কারণে সমগ্র এলাকা জলমগ্ন হওয়ার পাশাপাশি এই সিধু কানু ব্রিজ এর দুদিকের পিলার কিছুটা বসে যাবার ফলে সেতুটি অনেকটা বেঁকে গিয়েছে।বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অজয় নদের জল বাড়তে থাকায় দুপুর দুটো নাগাদ লক্ষ্য করা যায় সেতুর দুই দিকের অংশ বসে যায় যার যারফলে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই সেতুর উপর দিয়ে পারাপার বন্ধ করা হয়েছে ।এরফলে চিত্তরঞ্জন থেকে ঝাড়খণ্ড এর যাওয়ার রাস্তা সম্পুর্ন বন্ধ।

ব্রিজের অবস্থা খতিয়ে দেখার জন্য চিত্তরঞ্জন রেল প্রশাসনের তরফে এডিজিএম গােপাল বিশ্বকর্মা ও জেনারেল ম্যানেজার সতীশ কুমার কাশ্যপ ঘটনাস্থলে যান এবং
সঙ্গে সঙ্গেই সিএল ডব্লু ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগকে ব্রিজের অবস্থা খতিয়ে দেখার জন্যে বলেন ।ইঞ্জিনিয়ার এর দল প্রাথমিক ভাবে দেখার পর অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্রিজের উপর যানচলাচল বন্ধ করাহয়েছে।চিত্তরঞ্জন প্রশাসনিক সূত্রে বলা হয়েছে যে নদীতে জলের পরিমাণ কম হলেই মাটি পরীক্ষা, ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ক্ষতি হওয়া স্তম্ভটি সংস্কার করা হবে।তবেই ব্রিজের উপর চলাচল করার অনুমতি দেওয়া হবে।
তবে এর ফলে চিত্তরঞ্জন থেকে ঝাড়খন্ড এর মাড়ালো, বিন্দাপাথর,খরিমাটি, ফুটবেরিয়া,সহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষকে অনেকটাই অসুবিধার মধ্যে পড়তে হবে।
কারন ওইসব অঞ্চলের মানুষ বাজার হাট থেকে শুরু করে চিত্তরঞ্জন কারখানার বহু চাকুরিজীবি রয়েছে এছাড়া বহু ছাত্র ছাত্রী রয়েছে যারা এই চিত্তরঞ্জন শহরে টিউশন ও স্কুলে পড়াশুনা করতে আসে। যদিও মাড়ালো ও কুসবেদিয়া সংযোগ স্থলে একটি সেতু রয়েছে সেটি চিত্তরঞ্জন শহরে যোগাযোগ স্থাপন করে ।তবে এইসব গ্রামীন মানুষের ক্ষেত্রে অনেকটাই ঘুর পথ হবে।তবে কি করা যাবে মানুষকে অপেক্ষা ছাড়া আর কিছুই করার নেই ।
৩০ শে অক্টোবর পর্যন্ত নাইট কারফিউ, দুর্গোৎসবে স্বস্তি, লোকাল ট্রেন চলবে না