ASANSOLBengali News

স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন, রেলপার এলাকায়  মন্ত্রী, জোরকদমে কাজ করছে পুরনিগম, আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি ঘাঘরবুড়ি মন্দির পরিদর্শনে

বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, 4 অক্টোবরঃ নিম্নচাপের জেরে একদিনের সর্বকালীন রেকর্ড বৃষ্টিতে আসানসোল পুরনিগমে মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আসানসোল উত্তর থানার রেলপার, কালিপাহাড়ি সহ বেশ কিছু এলাকা। জমা জল কমে যাওয়ার পর যে আবর্জনা ও ধ্বংসের স্তুপ তৈরি হয়েছে তা সরানোর জন্য রবিবার সকাল থেকে অতিরিক্ত আরো ২০ টি গাড়ি সহ অনেক বেশি সাফাই কর্মীদের কাজে নামালো পুরনিগম কতৃপক্ষ। সেই সঙ্গে যাতে কোনভাবেই ডেঙ্গু মশার জন্মাতে না পারে তার জন্য শুরু হয়েছে চারিদিকে কীটনাশক তরল স্প্রে করার কাজ। একইসঙ্গে হচ্ছে ছড়ানো হচ্ছে ব্লিচিং পাউডার

রেলপার এলাকায়  মন্ত্রী


এদিন আসানসোল পুরনিগমের পুর প্রশাসক অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় নিজেই রেলপার ও কালিপাহাড়ি এলাকায় যান। ঠিক মতো এইসব কাজ হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখেন। তিনি বলেন, প্রচুর বাড়ির মধ্যে জল ঢুকেছে। তাদের বেশ কিছু জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে বাইরে পড়ে আছে। যেগুলো অব্যবহারযোগ্য। কিংবা আরো যে সব আবর্জনা জমেছে এই ভয়ঙ্কর বৃষ্টির কারণে। সেগুলি সাফাই করার জন্য ঐ এলাকার পুরনিগমের সাফাই কর্মী ছাড়াও অন্য জায়গা আরো অনেক কর্মীকে সেখানে পাঠানো হয়েছে এদিন। সঙ্গে বিভিন্ন বোরো থেকে অতিরিক্ত ২০টির মতো গাড়ি পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, পুরনিগমের স্বাস্থ্যকর্মীদের ঐসব এলাকায় নজর রাখার জন্য বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে ব্লিচিং ও অন্যান্য কীটনাশক স্প্রে করা শুরু হয়ে গেছে। বেশ কিছু পানীয় জলের পাইপ লাইনে যে সমস্যা তৈরি হয়েছিলো বৃষ্টির জলে, সেগুলো ঠিক করে নতুন করে সংযোগের কাজ চলছে। আশা করা যায় সোমবার সকালের মধ্যে সমস্ত জলের পাইপ লাইন গুলি ঠিক হয়ে যাবে।


অন্যদিকে, এদিনই আসানসোল উত্তরের বিধায়ক তথা  মন্ত্রী মলয় ঘটক রেলপার এলাকায় যান ক্ষতিগ্রস্থদের সঙ্গে কথা বলেন . শাসক দল আইএনটিটিইউসির পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আসানসোল উত্তরের বিধায়ক তথা   মন্ত্রী মলয় ঘটক নির্দেশে  অতি বৃষ্টির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত আসানসোলের বহু প্রাচীন ও জাগ্রত ঘাঘরবুড়ি মন্দির পরিদর্শন করলেন  ও তৃণমূলের ব্লক সভাপতি গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে আসানসোল বাজারের বস্তিন বাজার সহ আশপাশের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দোকানে দোকানে যান। তাদের সঙ্গে কথা বলেন। এদিকে রাজ্যের আইন ও পূর্ত দপ্তরের মন্ত্রী মলয় ঘটকের নির্দেশে বাজার এলাকার একটি
ধর্মশালাতে রবিবার একটি শিবিরের আয়োজন করা হয় আসানসোল চেম্বার অফ কমার্সের তরফে। সেখানে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা ক্ষতির তথ্য সহ বিস্তারিত তথ্য জমা দেন। বনিকসভার তরফে এর একটি তালিকা তৈরী করে মন্ত্রীর মাধ্যমে রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হবে। পরে অভিজিৎ ঘটক বলেন, নিজের চোখে না দেখলে বোঝা যাবে না কি ভয়ঙ্কর ক্ষতি হয়েছে ঐ ব্যবসায়ীদের এই রেকর্ড বৃষ্টিতে। দল ও সরকার এদের সঙ্গে আছে।


আসানসোলের রানিগঞ্জের হোসেন নগর সহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির জল একেবারেই নেই বললেই চলে। কিন্তু প্রচুর মানুষের ক্ষতি হয়েছে এই বৃষ্টিতে। রানিগঞ্জের বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এখানে সবচেয়ে বড় যে জলের সমস্যা তৈরি হয়েছিল পাইপলাইন ভেসে যাওয়ার কারণে আমরা তা মেরামত করে দিয়েছি । রবিবার রাতে স্থানীয় একটি এলাকায় জল সরবরাহ করে তার পরীক্ষা করা হচ্ছে। সোমবার দিন সমস্ত এলাকায় জল পৌঁছে যাবে বলে আশা করছি।

আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশের মানবিক মুখ, বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার মানুষদের পাশে, দেওয়া হলো ত্রাণ

শুভেচ্ছা জানিয়েও কটাক্ষের সুরে আক্রমণ বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের, বিভিন্ন এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন 

আসানসোলে দুর্যোগের পরে পরিস্থিতি খুবই খারাপ, INTTUC জেলা সভাপতির বাজার পরিদর্শন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *