ADPC প্রকাশ করা হল “পুজো গাইড”, মহিলা সুরক্ষার জন্য “শক্তি” টিম
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে জেলার পুজো কমিটিগুলোর সঙ্গে পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের বৈঠক
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত: আগামীকাল মহালয়া। পিতৃপক্ষের শেষ এবং দেবীপক্ষের শুরু। কিছুদিনের মধ্যেই বাঙালির সবচাইতে বড় উৎসব দুর্গোৎসব। কোভিড সতর্কতার মধ্যেই রাজ্যের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। সমগ্র বাংলার প্রশাসনও এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ প্রস্তুত। আর সেকারণেই মঙ্গলবার বিকেল আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে পূজা কমিটিগুলোকে নিয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়।




ওই বৈঠকে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার এস নীলকান্তম, জেলার ডিএম এস অরুণ প্রসাদ,
ডিসি সেন্ট্রাল ড: কুলদীপ সোয়ানওয়ারকার, ডিসি হেড কোয়ার্টার অংশুমান সাহা, ডিসি ট্রাফিক আনন্দ রায়, এডিএম ড: অভিজিৎ শিভালকর ও সন্দীপ টুডু, বিদ্যুৎ বিভাগ ডিই সুমন কুমার মাজি, ফায়ার ডিপার্টমেন্টের ওসি ফইয়জ আহমেদ খান, পুলিশ কমিশনারেটের সমস্ত এসিপি , সমস্ত থানার ওসি ও আইসি, আসানসোল চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি নরেশ আগরওয়াল, তৃণমূল নেতা গুরুদাস চ্যাটার্জি সহ প্রশাসন উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে শহরের বিভিন্ন পূজা কমিটির প্রতিনিধিরা জড়িত ছিলেন।

এই উপলক্ষে পুলিশ কমিশনার বলেন, এই বছরও যেহেতু করোনার আতঙ্ক দূর হয়নি, এই কারণে গত বছরের মতো এবছরও পুজো আয়োজনে একই নিয়ম মেনে চলতে হবে। তিনি বলেন যে পূজার দিনগুলিতে নাইট কারফিউ থাকবে না কারণ সেই দিনগুলিতে লোকেরা রাতে পুজোর আনন্দে মেতে ওঠেন। পুজো কমিটিগুলোকে প্যান্ডেল তিন দিক থেকে খোলা রাখার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। তিনি প্রতিটি মণ্ডপে নো এন্ট্রি বোর্ড লাগানোর কথা বলেন। এর পাশাপাশি, তিনি পুজো কমিটিগুলিকে প্যান্ডেলে মাস্ক এবং স্যানিটাইজার রাখার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন যে সরকার এই দিক থেকে আর্থিক সাহায্য দিচ্ছে, যাতে এসবের ব্যবস্থা করা যায়। এর সঙ্গেই তিনি বলেন যে মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য মহিলা পুলিশ কর্মীদের নিয়ে “শক্তি” নামক একটি টিম গঠন করা হয়েছে যারা পাঁচটি স্কুটি নিয়ে শহরে টহল দেবে। ওই অনুষ্ঠানে পূজা কমিটিগুলো তাদের পুজোর সময় পার্কিং এবং আরো অন্যান্য সমস্যার কথা প্রশাসনিক আধিকারিকদের অবগত করেন। মঙ্গলবারের কর্মসূচিতে “পূজা গাইডও” প্রকাশ করা হয়।
