রানীগঞ্জে জলে ডুবে পাইপলাইন কর্মীর মৃত্যু, চাকরি ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে জাতীয় সড়কে প্রায় মৃতদেহ রেখে বিক্ষোভ

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জি, রানীগঞ্জ: জলে ডুবে এক পিএইচ.ই পাইপলাইনের কর্মীর মৃত্যুর ঘটনার পর তার পোষ্যের চাকরি ও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবিতে এবার বললভপুর রেলগেট লাগোয়া 60 নম্বর জাতীয় সড়ক প্রায় 15 মিনিট ধরে রাস্তার মাঝেই মৃতদেহ রেখে অবরোধ-বিক্ষোভ চালাল মৃতের পরিজন ও এলাকার বাসিন্দারা। পুজোর সময়ে এই অবরোধের জেরে ব্যাপক দুর্ভোগে পড়ে বহু যানবাহন। পরে পুলিশ প্রশাসনের বিশাল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করে স্বাভাবিক করে পরিস্থিতি।


প্রশাসনের তরফে জানানো দেওয়া হয় তারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করার উদ্যোগ নেবেন। ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় রাণীগঞ্জ বল্লভপুর ইউনিয়ন পাড়ার বাসিন্দা পিএইচ.ই -র পাইপ লাইনের কর্মরত কর্মী বছর তেতাল্লিশের পুরন যশোয়ারা মঙ্গলবার পিএইচ এর কাজ করতে যাওয়ার সময় দামোদর নদের ডুবে মারা যায় এরপর তার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তে পাঠায়। বুধবার বিকেলে তার দেহ এসে পৌঁছলে তার দেহকে সঙ্গে নিয়ে এলাকার বাসিন্দারা ও মৃতের পরিজন ওই ব্যক্তির পরিবারবর্গকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। তারা দাবি করে মৃত ওই ব্যক্তিটি কর্মরত অবস্থায় নদীতে ডুবে গেছে এমতাবস্থায় তার পরিবারের একজন সদস্যকে অবিলম্বে চাকরির ব্যবস্থা ও ওই ব্যক্তির পরিবারবর্গকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা যেন করা হয় এই দাবিতে তারা পথ অবরোধ শুরু করে দেয়। পরে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসার পরই পুলিশ প্রশাসন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।