Paschim Bardhaman সহ বেশ কিছু জেলায় করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে, Double Dose নিয়েও সংক্রমিত, সংবেদনশীল এলাকায় কন্টেনমেন্ট জোন তৈরির নির্দেশ
বেঙ্গল মিরর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত: করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমশ ক্রমশ চিন্তার ভাঁজ রাজ্যের প্রশাসনিক আধিকারিকদের । স্বাস্থ্য বুলেটিন অনুযায়ী, গত তিন দিনে করোনা (Covid 19) আক্রান্তের সংখ্যা ৮০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। কেবলমাত্র কলকাতাতেই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে তড়িৎ গতিতে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতেই এবার জরুরি বৈঠকে বসল নবান্নে (Nabanna) রাজ্য। নবান্নে জরুরি বৈঠক ডাকেন মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। নবান্ন থেকে ভার্চুয়ালি হওয়া ওই বৈঠকে সবকটি জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সেই বৈঠকে অংশ নিতে বলা হয়।
এদিকে পরিসংখ্যান অনুযায়ী কলকাতা এবং বেশ কিছু জেলা যেমন মালদহ, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, উত্তর দিনাজপুর, পশ্চিম বর্ধমান ও দার্জিলিং, এই জেলাগুলোতে করোনা সংক্রমণের হার ক্রমশ বেড়েই চলেছে। আর সেকারণেই শনিবার ভার্চুয়ালি হওয়া ওই বৈঠকে ওই সমস্ত জেলাগুলোর জেলাশাসকদের আলাদা করে নির্দেশ দেন নবান্নের তরফে। নবান্নের তরফে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে।
এদিকে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো প্রয়োজন অনুযায়ী কনটেনমেন্ট জোন ( Containment Zone) তৈরি করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়। রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ কঠোরভাবে পালন করার কথাও বলা হয়।
বৈঠকে দেওয়া নির্দেশাবলী এক নজরে
১. প্রয়োজন অনুযায়ী কনটেনমেন্ট জোন তৈরি করতে হবে। রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ কঠোরভাবে পালন করতে হবে।
২. মাস্কের ব্যবহার আবশ্যিক করতেই হবে।
৩. টিকাকরণের হার বাড়াতে হবে।
৪. হাসপাতালগুলিতে কোভিড ফেসিলিটির পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। পাশাপাশি নতুন ও ক্রিটিক্যাল রোগীদের জন্য ব্যবস্থা তৈরি রাখতে হবে।
৫. সঠিকভাবে করোনা আক্রান্ত রোগীদের ট্র্যাক করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে করোনার দুটো টিকা নেওয়ার পরেও কেউ কেউ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন যা যথেষ্ট উদ্বেগ বাড়িয়েছে সরকারের। তাই মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন তৈরির বিষয়ে জোর দিতে বলেছেন মুখ্যসচিব। পাশাপাশি তিনটে টি অর্থাৎ টেস্টিং ( Testing), ট্র্যাকিং( Tracking) ও ট্রিটমেন্টের ( Treatment) দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ দেন রাজ্যের মুখ্যসচিব।
এদিকে নবান্ন সূত্রে খবর পুলিশকে নাইট কার্ফু, কনটেনমেন্ট জোন ও মাস্কের ব্যবহারের বিষয়ে প্রয়োজনে কঠোর হওয়ার নির্দেশ ও দেওয়া হয়েছে।
শনিবারের বুলেটিন অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯৭৪ জন। রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। শনিবার কলকাতা পুরসভার দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় আক্রান্ত হয়েছে ৪৪৯ জন। এর মধ্যে ১৯৪ জনের টিকার দুটি ডোজ় নেওয়া হয়ে গিয়েছে। এদের মধ্যে টিকার প্রথম ডোজ় নেওয়া হয়ে গিয়েছে ২২ জনের। আর টিকার দ্বিতীয় ডোজ় নেওয়া হয়ে গিয়েছে ১৯৪ জনের। শনিবার কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ জানান, শহরের একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার এবং দুটি সেফ হোম ( Safe Home) খুলে দেওয়া হচ্ছে।