রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ফিরলেন, ক্ষমা চেয়ে , নিশানা করলেন বিজেপিকে
বেঙ্গল মিরর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারে মন্ত্রী থাকা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘর ওয়াপসি হলো। ফিরে এলেন পুরনো বাড়িতে । প্রায় নয় মাস বিজেপিতে থাকার পর রাজ্যের এই প্রাক্তন মন্ত্রী হতাশ হয়ে পড়েন। রবিবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরায় অভিষেক ব্যানার্জির নেতৃত্বে আয়োজিত তৃণমূল কংগ্রেসের (টিএমসি) সভায় পুরনো দলে ফিরে তিনি বলেন, “আজ আমি খুব কৃতজ্ঞ। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ যে আমাকে বাড়ি ফেরার অনুমতি দিয়েছেন। আমি নেত্রীকে প্রণাম করি এবং শ্রদ্ধা করি।” এদিনের সভা থেকে বিজেপিকে নিশানা করার পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন রাজীব। তিনি বলেছেন যে আমি লজ্জিত এবং অনুতপ্ত।
মঞ্চে কুণাল ঘোষের পরে বক্তব্য রাখেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ঘিরে জটিলতা নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি শুধু ভাবছি কেন এত ভয়। ভয় কখন? আজ ত্রিপুরার গদি নড়ে উঠেছে। সেজন্য তুমি এত ভয় পাচ্ছ।”
তিনি বলেন, “অনেক মানুষকে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। আমি আগামীকাল ফিরে এসেছি। সবার একটাই কথা, কত তাড়াতাড়ি ত্রিপুরায় বদল হবে দাদা? ত্রিপুরায় যারা পরিবর্তন এনেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক ব্যানার্জি। আগামী দিনে ত্রিপুরায় পরিবর্তন আসছে।”
(Rajib Banerjee) রাজীব বললেন, আমি আমার ভুল স্বীকার করছি। আমি যদি সেদিন অভিষেক এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা শুনতাম, আমি আরও ভাল দিক দেখতে পেতাম। আমি সত্যিই দুঃখিত। আমি তখন ভুল বুঝেছিলাম।
এরপর বিজেপিকে নিশানা করে রাজীব বলেন, ‘তখনও আমি বলেছিলাম যে আমি মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। এরপর আমাকেও স্বপ্ন’ দেখানো হয়। বলা হয়েছিল জনগণের জন্য করতে চাইলে ভারতীয় জনতা পার্টি তা করবে। নানা কথা বলা হলো। আমি চাই না গোটা ভারত আমার ভুল করুক। আর আমি মঞ্চে মাইক নিয়ে বললাম, কেউ যেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ না দেয়।
এই শেষ নয়। রাজীব বলেন, ‘সবাই উন্নয়নের কথা বলছিল। আজ যদি কেন্দ্রীয় নেতাদের বুকে হাত রেখে বলার সাহস থাকে, তাহলে আমি বলছি জিনিসপত্রের দাম কমাতে হবে। পেট্রোল, ডিজেল ও গ্যাসের দাম কমাতে হবে। রাজীব বলেন যে ভোট এবং ক্ষমতা দখল করা ছাড়া বিজেপির আর কোনও এজেন্ডা নেই।