সুব্রত মুখোপাধ্যায় প্রয়াত, নক্ষত্রপতন বাংলার রাজনীতিতে
বেঙ্গল মিরর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : রাজ্যের প্রবীণ মন্ত্রী ও কলকাতার প্রাক্তন মেয়র সুব্রত মুখার্জি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুতে রাজনৈতিক ছাড়াও সমস্ত মহলে শোকের আবহ। তিনি শুধু প্রবীণ গুরুত্বপূর্ন রাজনৈতিক নেতা ছিলেন না সঙ্গে রাজ্যের চারটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের মন্ত্রীও ছিলেন।
১৯৭২ সালে, ২৬ বছর বয়সে, তিনি প্রতিমন্ত্রী হন। ২০০০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত কলকাতার মেয়র ছিলেন। তিনি ২০১১ সাল থেকে রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য। কলকাতার প্রাক্তন মেয়র সুব্রত মুখোপাধ্যায় পঞ্চায়েত এবং গ্রামীণ উন্নয়ন সহ রাজ্যের চারটি বিভাগের মন্ত্রী ছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। ২৪ অক্টোবর রবিবার ডাক্তাররা সুব্রত মুখার্জীকে মেডিক্যাল চেকআপের জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। শ্বাসকষ্টের কারণে তাকে উডবার্ন ওয়ার্ডের আইসিসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়।
সুব্রত মুখোপাধ্যায় ১৯৬০-এর দশকে ছাত্রনেতা হিসেবে বাংলা কংগ্রেসে হাত ধরে রাজনীতিতে যোগ দেন। তিনি ছাত্র পরিষদের সভাপতিও ছিলেন।1972 সালে, ২৬ বছর বয়সে, তিনি সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের মন্ত্রিসভার সদস্য হন। বিতর্কিত জরুরি অবস্থার সময় সুব্রত মুখার্জী রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ২০০০ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। তিনি ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত কলকাতার মেয়র ছিলেন। ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকে সুব্রতকে তিন মেয়াদে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক দেওয়া হয়।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতির খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গুরুত্বপূর্ন ও প্রবীণ সদস্যদের নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছন, তার কিছুক্ষণ পরেই তাঁর মৃত্যুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়।
আসানসোল শিল্পাঞ্চলে তাঁর অনেক শুভানুধ্যায়ী রয়েছেন।তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মৃত্যুতে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, আসানসোল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বোর্ড চেয়ারপারসন অমরনাথ চ্যাটার্জি, রাজ্যে তৃণমূল সেক্রেটারি শিবদাসন দাসু, আইএনটিটিইউসি জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।