ASANSOL

আসানসোল জেলা হাসপাতালে সিটিস্ক্যান ইউনিটের উদ্বোধন , গোটা বাংলায় তৈরী করা হবে ১৬ টি

দুমাসের মধ্যে পরিসেবা চালু হবে আরো দুটি হাসপাতালে

https://www.facebook.com/BANGALMIRROR/videos/398717281733312/

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, আসানসোল, ১২ নভেম্বরঃ ( Asansol Live News Today ) আসানসোল জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের শুক্রবার উদ্বোধন হলো সিটিস্ক্যান ইউনিটের। মেডিভিউ ডায়াগনস্টিক সার্ভিস নামে একটি বেসরকারি সংস্থা রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে পিপিপি মডেলে এই ইউনিট চালাবে। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পরে জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সিটিস্ক্যান পরিসেবা চালু হওয়ায় পশ্চিম বর্ধমান জেলার পাশাপাশি আশপাশের এলাকার মানুষেরা স্বস্তির নিশ্বাস পেয়েছেন। গত ১ নভেম্বর থেকে এই সিটিস্ক্যান ইউনিটের ট্রায়াল রান শুরু করা হয়েছিলো।

আসানসোল জেলা হাসপাতালে সিটিস্ক্যান


বর্তমান রাজ্য সরকার পিপিপি মডেলে বাংলার ১৬ টি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সিটিস্ক্যান ইউনিট চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিন আসানসোল জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চালু হওয়া ইউনিট হলো পঞ্চম। বাকি চারটি হলো কল্যানী, ডায়মন্ডহারবার, জলপাইগুড়ি ও বসিরহাট। আগামী দুমাসের মধ্যে কলকাতার পিজি ও এসএসকেএমে চালু করা হবে।
এদিন আসানসোল জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সিটিস্ক্যান চালু করতে উপস্থিত ছিলেন এসএসকেএমের রেডিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডাঃ উৎপলেন্দু রায়। তিনি বলেন, সম্পুর্ণ বিনামূল্যে এই পরিসেবা দেওয়া হবে। রোগীর পরিবারকে এরজন্য কোন টাকা খরচ করতে হবে। রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্য, সাধারণ মানুষদের সবচেয়ে ভালো স্বাস্থ্য পরিসেবা দেওয়া।


অন্যদিকে বেসরকারি সংস্থার কর্ণধার ডাঃ দিলীপ কুমার বিশ্বাস বলেন, এই হাসপাতালে একবারে অত্যাধুনিক মেশিন বসানো হয়েছে। একদিনে ১৫০ জনেরও বেশী মানুষের সিটিস্ক্যান করা সম্ভব এই মেশিনে। দিনের বেলায় পরীক্ষা করার সঙ্গে সঙ্গে প্লেট দিয়ে দেওয়া হবে। রিপোর্ট ২ ঘন্টার মধ্যে পাওয়া যাবে। রাতে পরীক্ষা করা হলে পরের দিন সকালে রিপোর্ট মিলবে। তিনি আরো বলেন, এই ইউনিটে ৫ জন টেকনিশিয়ান ও ১০ জন সাপোর্ট স্টাফ রয়েছে। আসানসোল জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ইউনিটটি রাজ্যের মধ্যে পঞ্চম।
এদিন অন্যদের মধ্যে ছিলেন আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাস, ডাঃ পঞ্চানন দে, ডাঃ তনুময় কবিরাজ, ডাঃ অভিরুপ বিশ্বাস, মনিকা বিশ্বাস ও জেলা হাসপাতালের চার সহকারী সুপার কঙ্কন রায়, সৃজিত মিত্র, ভাস্কর হাজরা ও মমতাজ বেগম ।

দুর্গাপুরে এডিডিএ অবৈধ নির্মাণ ভাঙলো

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *