ASANSOLBengali News

আসানসোলে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে তৈরি হওয়া হকার্স মার্কেট প্রায় বন্ধ, হঠাৎ পরিদর্শনে পুরকমিশনার

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, আসানসোল, ২৩ নভেম্বরঃ ২০০৬ সালে ৫০০ দোকান নিয়ে আসানসোলের জিটি রোডের গীর্জা মোড়ে রাস্তার দুপাশে হকার্স মার্কেট তৈরী করেছিলো আসানসোল পুরনিগম। ১৫ বছর ধরে প্রায় বন্ধ সেই হকার্স মার্কেট। ৫০০ দোকানের ঐ মার্কেটে হাতেগোনা কয়েকজন দোকান খুলে বসেছেন। বাকি সব দোকানের ঝাঁপ বন্ধ। যে কারণে ও যাদের জন্য এই মার্কেট তৈরী সেই হকাররা আজও ফুটপাত দখল করেই বসে আছেন।

Asansol हॉकर्स मार्केट


কিন্তু কেন হকার্স মার্কেটে দোকানদাররা দোকান খুলে বসেন না ? বা যে কয়েকজন এখন হকার্স মার্কেটে রয়েছেন তারা কোন কোন অসুবিধার মধ্যে রয়েছেন তা খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার আচমকাই সেখানে পরিদর্শনে এলেন আসানসোল পুরনিগমের পুরকমিশনার নীতিন সিঙ্গানিয়া। তার সঙ্গে ছিলেন আসানসোল পুরনিগমের পুর প্রশাসক বোর্ডের ভাইস চেয়ারপার্সেন ডঃ অমিতাভ বসু।
এদিন পরিদর্শনে এসে চক্ষু চড়কগাছ পুরআধিকারিকদের। কোথাও ৮ বছর ধরে জমা পড়েনি পুরকর। কারও আবার ট্রেড লাইসেন্সই নেই। বেশিরভাগ হকাররা নিজের নিজের দোকান বেআইনিভাবে ভাড়া দিয়েছেন অন্য কাউকে। তারপর দোকান মালিক ফের চলে গেছে বাজারের ফুটপাত দখল করতে।


আবার অন্যদিকে মার্কেটের দোকানদারদের ঝুড়িঝুড়ি অভিযোগ পুরনিগমের বিরুদ্ধে। দোকানগুলি ভেঙে প়ড়লেও পুরনিগম সংস্কার করে না। পুরনিগমের সাফাই কর্মীরা মার্কেট পরিষ্কার করতে ঢোকেন না হকার্স মার্কেটে। দিনেরাতে সবসময় মার্কেটে বহিরাগতরা ঢুকে মদ ও জুয়ার আসর বসাচ্ছে। ফলে নিরাপত্তার অভাবে মার্কেটমুখী হচ্ছেন না ক্রেতারা।


উল্লেখ্য ২০০৬ সালে বাম আমলে তৈরি হয়েছিল এই হকার্স মার্কেট। মূলত ফুটপাত দখলমুক্ত করার জন্যই আসানসোল জিটি রোডের ধারে গীর্জা মোড়ে তৈরি হয়েছিল বিশাল হকার্স মার্কেটটি। দোকানদারদের দাবি ফুটপাত হকারমুক্ত করতে পারলেই আবার জমে যাবে হকার্স মার্কেট। এতে পুরনিগমের আয়ও বাড়বে।
অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের হকার্স ইউনিয়নের নেতাদের দাবি, বাম আমলে বহু টাকা ব্যয়ে হকার্স মার্কেটটি অবৈজ্ঞানিকভাবে তৈরি হয়েছিলো। মার্কেটে রাস্তার ধারের কয়েকটি দোকান শুধু খোলা হয়। ভেতরের বাকি দোকানগুলি বন্ধ। তাই হকাররা ফের ফুটপাতে ফিরে গেছেন।


আইএনটিটিইউসি নেতা রাজু আলুওয়ালিয়া বলেন, আসানসোলের হকার্স মার্কেট বাম আমলে কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই তৈরি করা হয়। যে কারণে আজ পর্যন্ত হকারদের সমস্যার মীমাংসা করা যায়নি। মার্কেটের অনেক দোকান হকারদের বদলে অন্যের দখলে। অসামাজিক কাজও এখানে হয়। পুর প্রশাসনের এখন এই মার্কেট নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
এদিকে পুরকমিশনার এদিন দোকানদার সঙ্গে কথা বলে জানান, সমস্যা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে একটা পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এদিনের পরে একটা রিপোর্ট তৈরি করে আলোচনায় বসা হবে। যারা মার্কেটে বসেন না, তাদের সঙ্গেও কথা বলা হবে। তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, নতুন করে হকার্স মার্কেট চালুর ব্যবস্থা করা হবে।

Leave a Reply