ASANSOL

আসানসোল জেলা হাসপাতাল ” সুশ্রী ” প্রকল্পে রাজ্যের মধ্যে দ্বিতীয়, প্রথম এমআর বাঙ্গুর ও তৃতীয় বালুরঘাট

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্য , সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, আসানসোল, ২৬ নভেম্বরঃ রাজ্যের ” সুশ্রী ” প্রকল্পে দ্বিতীয় হলো আসানসোল জেলা হাসপাতাল। রাজ্যের ৫ টি মেডিকেল কলেজ ও ১৮ টি জেলা হাসপাতালের মধ্যে আসানসোল জেলা হাসপাতাল দ্বিতীয় পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েছে।এই প্রকল্পে প্রথম স্থানে আছে এমআর বাঙ্গুর হাসপাতাল ও তৃতীয় হয়েছে বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল।


আসানসোল জেলা হাসপাতালে মুকুটে নতুন পালক যুক্ত হওয়ার হাসপাতাল সুপার, চিকিৎসক থেকে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী সকলেই খুশি।
আসানসোল জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হলেন রাজ্যের আইন ও পূর্ত দপ্তরের মন্ত্রী মলয় ঘটক। তিনি বলেন, এই সম্মান আসানসোলে সমস্ত মানুষের কাছে একটা গর্বের বিষয়। এখানে শুধু আসানসোল শিল্পাঞ্চল নয় পার্শ্ববর্তী রাজ্য ও জেলা গুলো থেকে প্রতিদিন প্রচুর সংখ্যায় রোগী আসেন। তারা চিকিৎসা পরিষেবা পান।

image source facebook


এই প্রসঙ্গে জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাস বলেন, সাফাই বা পরিষ্কার পরিছন্নতা থেকে মোট সাতটি বিষয় বিচার করে উচ্চপর্যায়ের কমিটি এই প্রকল্পে সেরার সিদ্ধান্ত নেয়। এর মধ্যে অন্যতম বিষয় হলো পরিকাঠামো। তেমন কিভাবে হাসপাতালের ওয়ার্ডের পরিছন্নতা রক্ষা করা হচ্ছে, হাসপাতালে যে সমস্ত করিডোর ও শৌচালয় গুলির পরিছন্নতা, হাসপাতালের ড্রেনেজ সিস্টেম, হাসপাতালের বর্জ্য পদার্থ হয় তা কিভাবে বায়োমেডিকেল ওয়েষ্ট ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে ওয়েষ্ট করা, জল সংরক্ষণ, পরিবেশ ও হাইজিন সংক্রান্ত বিষয় গুলি দেখা হয়।

একইসঙ্গে হাসপাতালের রোগীদের জামা কাপড় ধোয়ার লন্ড্রি, রোগীদের দেওয়া খাবার তৈরীর রান্নাঘর ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যবস্থা কি রকম আছে তা ভালো করে দেখার পর এই পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়। প্রথমে হাসপাতালের তরফে একটি সমীক্ষায় রিপোর্ট পাঠানো হয়। তাতে পাশ হলে, স্বাস্থ্য দপ্তরের দল এসে সরজমিনে সব পরীক্ষা করে দেখে। সুপার আরো জানান, হাসপাতালে সমস্ত স্তরের কর্মীদের যৌথ সাফল্যই এই পুরস্কার এনে দিয়েছে। হাসপাতালে পরিকাঠামোগত ভাবে একের পর এক অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি এনে রোগীদের স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। সম্প্রতি সিটিস্ক্যান সেন্টার চালু করা হয়েছে হাসপাতালে ।


জেলা হাসপাতালের দুই চিকিৎসক ডাঃ নির্ঝর মাজি ও ডাঃ সঞ্জিত চট্টোপাধ্যায় বলেন, নার্স থেকেই সাফাই কর্মী সকলেই সমস্ত ধরনের কাজ করার মধ্যেও পরিচ্ছন্নতার প্রতি নজর রাখেন। এই কৃতিত্ব চিকিৎসকদের থেকেও তাদের অবদান বেশি বলে মনে হয়। জেলা হাসপাতাল এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হওয়ায় আমরা সকলেই গর্বিত। অদূর ভবিষ্যতে এই হাসপাতাল যাতে আরো পুরষ্কার পায়, তারজন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *