আসানসোলে পুলিশ কমিশনারকে স্মারক লিপি জেলা বিজেপির
বারাবনিতে দলের যুব মোর্চার মন্ডল সভাপতি আক্রান্ত , দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ১ ডিসেম্বরঃ আসানসোলের বারাবনি বিধানসভা বা ব্লকের বিজেপির যুব মোর্চার মন্ডল সভাপতি বাপি প্রধান ও তার মা মঙ্গলবার সকালে নিজেদের বাড়ির সামনেই দূষ্কৃতিদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। অভিযোগ, তৃনমুল কংগ্রেসের আশ্রয়ে থাকা দুই দূষ্কৃতি প্রথমে বাপিকে বাড়ির ভেতর থেকে টেনে বার করে রাস্তায় ফেলে মারধর করছিলো। তা দেখে বাপির মা বাইরে এসে ছেলেকে বাঁচাতে আসেন। সেই সময় দূষ্কৃতিরা তাকেও মারধর করেন। আরো অভিযোগ, বাপি প্রধান ঘটনার পরে যখন বারাবনি থানায় অভিযোগ জানাতে যান, তখন পুলিশ তাকে ও তার মাকেই থানায় আটকে রাখে। পরে রাতে অবশ্য পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়।
দল এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় বলে, মঙ্গলবারই দাবি করেছিলেন বারাবনর বিধায়ক তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃনমুল কংগ্রেসের সভাপতি বিধান উপাধ্যায়।
এদিকে, বারাবনির এই ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষীদের তিন দিনের মধ্যে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়ে বুধবার আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট অফিসে আসে জেলা বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল। জেলার কনভেনার শিবরাম বর্মন ছাড়াও ছিলেন রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়, জেলা যুব মোর্চার সভাপতি অরিজিৎ রায়, সুদীপ চৌধুরী সহ অন্যান্যরা। জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে একটি স্মারক লিপি আসানসোল দূর্গাপুরের পুলিশ কমিশনারকে দেওয়া হয়।
পরে শিবরাম বর্মন বলেন, এই ধরনের ঘটনা কোন নতুন নয়। বাপি প্রধান বিধান সভা নির্বাচনের পর থেকেই বাড়িছাড়া ছিলেন। তৃনমুল কংগ্রেসের ভয়ে সে বাড়ি আসতে পারছিলোনা। হাইকোর্টের নির্দেশের পরে ৫ দিন আগেই সে বাড়ি ফিরেছে। তারপরেই মঙ্গলবার এই ঘটনা। আমরা এদিন দোষীদের গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ কমিশনারকে ৩ দিন সময় দিয়ে গেলাম। এই সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করা না হলে, আমরা বারাবনি থানার সামনে বসে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাবো।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শিবরাম বর্মন এদিন বারাবনির বিধায়ক তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃনমুল কংগ্রেসের সভাপতির সমালোচনা করে বলেন, বিধান উপাধ্যায় এখনো গোটা বারাবনির মানুষদের বিধায়ক হয়ে উঠতে পারেননি। না হয়েছেন প্রশাসক। তিনি এখনো তৃনমুল কংগ্রেসের বিধায়ক হয়ে রয়েছেন।
অন্যদিকে, পুলিশ কমিশনারেট অফিস সূত্রে জানা গেছে, বারাবনি থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।