মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গের বিঞ্জান ভিত্তিক ভিডিও, এশিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তোলা রানিগঞ্জের ক্ষুদের পাশে শ্যামসেল স্টিল অ্যান্ড পাওয়ার প্ল্যান্ট
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ৬ ডিসেম্বরঃ মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গে কার্যকারিতার বিঞ্জান ভিত্তিক ভাবে ভিডিও করে এশিয়া বুক অফ রেকর্ডস ও ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলে সম্প্রতি বিস্ময় সৃষ্টি করেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের রানিগঞ্জের বক্তারনগরের ক্ষুদে রিসান ঘোষ। রিসানের এই কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ও তাকে উৎসাহ যোগাতে এবার তার পাশে দাঁড়ালো বেসরকারি শ্যামসেল স্টিল ও পাওয়ার প্ল্যান্ট।
সোমবার বক্তারনগরে রিসানের বাড়িতে যান সংস্থার জামুড়িয়া ও রানিগঞ্জের দুটি ইউনিটের এ্যাসিসটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমিত চক্রবর্তী, রানিগঞ্জ কারখানার ম্যানেজার উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় ও সিএসআরের আধিকারিকরা। এদিন সংস্থার আধিকারিকরা রিসানের বাবা, মা ও পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে তার হাতে তুলে দেন একটি ল্যাপটপ, পুষ্পস্তবক ও এ্যাপ্রিসিয়েশন লেটার। সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, মাত্র ৬ বছর বয়সে যা করেছে, তা শুধু বিস্ময় সৃষ্টি করেনি, একটা নজির গড়েছে। আমরা তার এই কাজে উৎসাহ দিতে ও এগিয়ে যেতে পাশে দাঁড়ালাম।
আসানসোল শহরের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের প্রথম শ্রেণির পড়ুয়া রিসান ঘোষ সাড়ে তিন বছর বয়স থেকেই একটু আলাদা। মানুষ কিভাবে কথা, কিভাবে শোনে বা দেখে, তা জানতে চেষ্টা করতো। তখন থেকেই সে অনায়াসে বলে দিতো সৌরজগতের বিভিন্ন গ্রহের অবস্থান। বলতে পারতো মাটির তলায় কিভাবে কোন পাথর আছে। বলতে গেলে, সে বিঞ্জানের বই পড়ে এইসব কিছু জানার চেষ্টা করতো। রিসান মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গে কার্যকারিতা বিঞ্জান ভিত্তিক বিশ্লেষণের ২০টি ভিডিওর পাশাপাশি সৌরজগত, এ্যানাটমি ও মাটির তলায় পাথরের অবস্থান নিয়েও ভিডিও এশিয়া বুক অফ রেকর্ডস ও ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে পাঠিয়েছিলো। এতেই হয়ে যায় সবকিছু।
বাবা সোমনাথ ঘোষ, মা বৈশাখী ঘোষের পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দারাও রিসানের এই সাফল্যে হতবাক। তারা কেউই বুঝে উঠতে পারছেন না যে, এই বয়সে কেউ একজন কিভাবে এই কাজ করতে পারে।