ASANSOL

আসানসোলে এলো অত্যাধুনিক লোকাল ট্রেনের কোচ তৈরি হয়ে, চলবে নতুন বছরের শুরুতে

দেশের মধ্যে তৈরি হওয়া প্রথম ট্রেনটি চলবে আসানসোল ও ঝাঁঝার এর মধ্যে

বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল। দেশের মধ্যে এই প্রথম কাপুরথালা রেলওয়ে কোচ ফ্যাক্টরি(আর সি এফ) তে তৈরি হওয়া অত্যাধুনিক মেন লাইন ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিট  তথা মেমু লোকাল ট্রেন টি কয়েকদিন আগেই আসানসোল ডিভিশনে এসে পৌঁছেছে। অভিনব সুন্দর এই লোকাল ট্রেনটি আসানসোল থেকে ঝাঁঝার মধ্যে পরীক্ষামূলক ভাবে শীঘ্রই চালানো হবে । ভারত হেভি এলেক্ট্রাইক্যালস ও রেলের লাখনোর আর ডি এস ও সংস্থার প্রতিনিধিরা তা পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানান আসানসোল ডিভিশনে সহকারি ডিভিশনাল ম্যানেজার মুকেশ কুমার মিনা। জানা গেছে এরপরেই সবুজসংকেত নিয়ে দেশের মধ্যে প্রথম আসানসোল ডিভিশনেই যাত্রীদের জন্য এই নতুন ট্রেনটি তার যাত্রাপথ শুরু করবে আগামী বছরের প্রথম দিকেই। উল্লেখ করা যেতে পারে আশির দশকের শেষের দিকে আসানসোল ডিভিশনে প্রথমে ডি এম ইউ এবং পরে মেমু লোকাল আসানসোলের মধ্যে চালু হয়েছিল।

এই নতুন লোকাল ট্রেনটির বৈশিষ্ট্য কি তা জানতে পারলে অবশ্যই যাত্রীরা অত্যন্ত উৎসাহিত হবেন। এ ডি আর এম জানান বারোটি অত্যাধুনিক কামরার  প্রতিটি কামরাতেই আলাদা করে সিসিটিভি লাগানো থাকছে। ঘন্টায় একশো দশ কিলোমিটার গতিতে ট্রেনটি চলতে পারবে যা সাধারণত এক্সপ্রেস বা মেল অথবা সুপারফাস্ট ট্রেন গুলি চলে। এখানে যেহেতু থ্রি ফেজ মোটর  এবং সেইসঙ্গে বিশেষ ধরনের ব্রেক সংযোগ করা হয়েছে। তাই প্রয়োজনে যেকোনো গতি কমিয়ে  আনা সহজেই সম্ভব। যাত্রীদের জন্য জিপিএস ব্যবস্থা থাকছে। বর্তমান যে লোকাল ট্রেন গুলি ডিভিশনে চলে তার তুলনায় যাত্রীসংখ্যার  বহনের ক্ষমতা এই নতুন কোচ গুলিতে ৩০ শতাংশ বেশি ।

এ ডি আর এম আরো বলেন বর্তমান লোকাল ট্রেনে যারা চালক তাদের দাঁড়িয়ে যাতায়াত করতে হয়। এখানে তাদের কেবিন এ সি করে  বিশেষ  বসার বন্দোবস্ত করা আছে । সামনেই কেবিন এর মধ্যে একটি বিশেষ ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড থাকছে সেখানে ট্রেনের যাবতীয় তথ্য উঠে আসবে। যাত্রীদের বসার জন্য আসনগুলি যেমন গদি দিয়ে ঢাকা তেমনি যারা দাঁড়িয়ে হ্যান্ডেল  ধরবেন তাদের আর সেই লোহার হ্যান্ডেল ধরতে হবে না।  পরিবর্তে বিশেষ ধরনের রাবারের হ্যান্ডেল এখানে লাগানো হয়েছে। যা দেখতে সুন্দর এবং নরম।  যাত্রীদের দাঁড়ানোর জন্য যথেষ্ঠ বেশি স্থান  আছে। যাত্রীদের জন্য এই ট্রেনে অত্যাধুনিক বায়ো টয়লেট এবং বেসিন ও নামিদামি ট্রেনের মতই উন্নত মানের কল লাগানো হয়েছে ।এর জানালা এবং দরজা গুলি একেবারেই মেট্রোরেকের মত। 

কামরায় এলইডি আধুনিক আলোর,পাখার সুবিধা থাকছে থাকছে । তেমনি আলাদা করে ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড থাকছে যেখানে কোন স্টেশন আসছে তার নাম উঠে আসবে এবং যাত্রীরা তা জানতে পারবেন ।  একদিকে যেমন মেন লাইনের  নিত্যযাত্রীরা এই অভিনব সুযোগের কথা শুনে খুশি তেমনি কেউ কেউ বলেন কতদিন এই ভালো জিনিস গুলো কে টিকিয়ে রাখা যাবে সেটাই সন্দেহ। রেলের সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে ভারতীয় রেল সবমিলিয়ে এমন ১১০টি কোচ ঐ কারখানায়তৈরি করবে ও সেইসঙ্গে আগামী দিনে আসানসোল ডিভিশনে যেসব পুরনো লোকাল ট্রেন গুলি চলে তার পরিবর্তন করা হবে।

Leave a Reply