মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১
বিবাহ আইনে সংশোধনীতে ছাড়পত্র মন্ত্রিসভার
বেঙ্গল মিরর, দীপ সেন : মহিলাদের জন্য বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ থেকে ২১ বছর করার প্রস্তাবটি বুধবার অনুমোদন করল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা। প্রস্তাবটি পাশ করতে প্রায় এক বছরে বেশি সময় নিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা। গত বছর স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে মহিলাদের বিয়ের বয়স ১৮ থেকে ২১ বছর করার কথা তিনি ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। গত বছর ঘোষণা করলেও এই প্রস্তাব তার মন্ত্রীসভা পাশ করতে পারেনি।




মনে করা হচ্ছে বিলটি আইনে পরিণত করার জন্য শীতকালীন অধিবেশনেই সংসদে পেশ করা হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মেয়েদের বিয়ের বয়স বাড়িয়ে ২১ বছর করার কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেটাই এবার তিনি বাস্তবায়িত করতে চলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বলেন, ‘মেয়েদের স্বাস্থ্য নিয়ে এই সরকার প্রতিনিয়ত উদ্বিগ্ন। মহিলাদের অপুষ্টির হাত থেকে বাঁচাতে হলে তাদের সঠিক বয়সে বিয়ে করা এবং বিয়ে দেওয়া প্রয়োজন।’ বস্তুত উল্লেখ্য, বর্তমানে ভারতে পুরুষদের ক্ষেত্রে বিয়ের বয়স ২১ এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে বিয়ের বয়স ১৮।এদিকে সূত্র মারফত খবর সরকারের পক্ষ থেকে বাল্যবিবাহ নিষেধাজ্ঞা আইন, বিশেষ বিবাহ আইন এবং হিন্দু বিবাহ আইনে পরিবর্তনের দিকে নজর রাখা হচ্ছে তাদের এই সিদ্ধান্তকে কার্যকর করার জন্য।
মেয়েদের বিয়ের বয়স বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দীর্ঘ আলোচনা করে বিশেষজ্ঞ কমিটি। নীতিআয়োগ বিষয়টি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়ার জন্য একটি টাস্ক ফোর্ট তৈরি করে। যার নেতত্বে জয়া জেটলি ছাড়াও ছিলেন ভিকে পাল, স্বাস্থ্যমন্ত্রকে উচ্চ পদস্থ আধিকারিক, নারী কল্যাণ মন্ত্রক এবং আইন মন্ত্রকের আধিকারীকরা। তাঁরা বিবাহ আইন, বাল্য বিবাহ আইন, হিন্দু বিবাহ আইন সহ একাধিক বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করেন এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেওয়ার আগে। গত বছর জুন মাসে এই টাস্ক ফোর্সটি তৈরি করা হয়েছিল। ডিসেম্বরে সেই টাস্ক ফোর্ট রিপোর্ট দেয় বলে জানা গিয়েছে। তারপরেই এই প্রস্তাবে সিলমোহর দেয় মোদীর মন্ত্রিসভা। বিশেষজ্ঞ কমিটি রিপোর্টে লেখে মেয়েরা ২১ বছর না হলে তাঁদের মা হওয়া ঠিক শরীরের পক্ষে ঠিক নয়। এছাড়া দেরীতে বিয়ে হলে অর্থনীতি, সামাজিক ও পরিবারের স্বাস্থ্যের উপর একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।