রানীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী নারায়ণকুড়ি হেরিটেজ স্থল পরিদর্শনে এলেন ইসিএলের সিএমডি
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ : কয়লা খনির ইতিহাসে ভারতের সর্বপ্রাচীন কয়লা খনি ( First Coal Mines of India) যা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর প্রকৃত প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর 1832 সালে গড়ে তুলেছিলেন রানীগঞ্জের সেই ঐতিহ্যবাহী নারায়ণ কুড়ি হেরিটেজ স্থল ( Narayankuri Heritage place ) , আবারো হলো ইসিএল ( Eastern Coalfields limited) দ্বারা বঞ্চিত বারংবার এই স্থান ইসিএল কর্তৃপক্ষ পরিদর্শন করে নানান প্রতিশ্রুতি দিয়েও সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ না করে শুধুমাত্র চোখের দেখা দেখে পার করলেন দীর্ঘ কয়েকটা দশক। এবারও সেই একই রূপ চোখের দেখা দেখতে শুধুমাত্র ভ্রমণ করার জন্য নারানকুড়ি এলাকা সস্ত্রীক পরিদর্শনে এলেন ইসিএলের সিএমডি প্রেম সাগর মিশ্র, সাথে উপস্থিত থাকতে দেখা গেল ইসিএলের ডাইরেক্টর পার্সোনাল ভিরা রেড্ডি ও তার স্ত্রীকেও। এবার বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে মধুরা চন্ডী উন্নয়ন সমিতির সদস্য ও হেরিটেজ কমিটির সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে দিকে দিকে পরিদর্শন করলেন সিএমডি প্রেম সাগর মিশ্র ও তার সঙ্গী সাথীরা।
তবে অন্য ক্ষেত্রে ইসিএল আধিকারিকেরা এলাকা গুলি পরিদর্শন করতে এসে নানান প্রতিশ্রুতি দিলেও এবার কিন্তু শুধুমাত্র পর্যটনস্থল হিসেবে এলাকাটি সুন্দরভাবে গড়ে ওঠার বিষয় ও নানান সব ঐতিহাসিক বিষয়গুলি খুঁটিয়ে-খুঁটিয়ে দেখলেন ইসিএলের সিএমডি। দামোদর নদের চরে ইসিএল আধিকারিকদের সঙ্গে সেলফি নিয়ে সেখানের উন্নয়ন সমিতির সদস্যদের উপহার সামগ্রী নিয়ে এলাকার উন্নয়নে এখন কোন কথা নয় কথা হবে দপ্তরে বলেই নিজেদের দায় সারলেন ইসিএল আধিকারিকেরা। উল্লেখ্য কয়লা খনির ইতিহাসে নজির গড়ে তোলা এই কয়লাখনির প্রথম বাণিজ্যিকভাবে কয়লা উত্তোলনের জন্য কার এন্ড টেগর কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে স্থাপন করেন প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর।
সেসময় জলপথে কয়লা পরিবহনের জন্য দামোদর নদের নারায়ন কুড়িগ্রামের শেষে মথুরা চন্ডী ফেরিঘাট গড়ে তোলা হয় যা বর্তমানে হেরিটেজ হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পরিষদ। রাজ্য সরকার ও হেরিটেজ কমিশনের সদস্যরা বিশেষভাবে পরিদর্শন করে 2018 সালে পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব, নারায়ণ কুড়ি ও মধুর মা চন্ডী পীঠস্থান কে , হেরিটেজ প্লেস হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এ বিষয়ের প্রেক্ষিতে সেখানে পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব , প্রথম কয়লা খনির প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের আবক্ষ মূর্তি উন্মোচন করেন ওই স্থানে। পরবর্তীতে ওই স্থানটিকে পর্যটনস্থল হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পরিষদ প্রায় 2 কোটি টাকারও বেশি টাকা খরচ করে ওই স্থানের সৌন্দর্যায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
তবে ভারতের প্রথম কয়লা খনি হিসেবে ওই স্থানটি দর্শনীয় স্থান হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বারংবার বিভিন্ন দপ্তর ইসিএল কর্তৃপক্ষ কে অনুরোধ করলেও সেই স্থানটিকে দর্শনীয় স্থান হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি ইসিএল কর্তৃপক্ষ কে। অথচ এই পর্যটন স্থল পরিদর্শনের জন্য 1998 সালে সিএমডি এমডি কালাম সাহেব উপস্থিত হয়েছিলেন এখানেই, একইভাবে 2005 সালে স্থানীয় এলাকার বাসিন্দাদের সহায়তায় ও মথুরা চন্ডী উন্নয়ন সমিতির উদ্যোগে দুটি স্নানঘাটের উদ্বোধন করা হয় খুনি আধিকারিকদের উপস্থিতিতে 14 ই জানুয়ারি 2005 সালে ঘাটের উদ্বোধন পর্বে উপস্থিত হন ইসিএলের ডাইরেক্টর পার্সোনাল আনন্দ চট্টোপাধ্যায় ও ডাইরেক্টর টেকনিকেল দীপক চক্রবর্তী, পরবর্তীতে 2015 সালে ফের এই এলাকা পরিদর্শনে আসেন ডাইরেক্টর টেকনিকেল কেস পাত্র ।
কিন্তু বারংবার ইসিএলের উচ্চ আধিকারিকেরা এই স্থলকে পরিদর্শন করে গেলেও শুধুমাত্র আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই দেন না তারা। এবারও সেই একই রকম আশ্বাস দিতে দেখা গেছে ইসিএলের সিএমডি কে তিনি কমিটির সদস্যদের আগামীতে দপ্তরে গিয়ে কথা বলার জন্য জানিয়ে নিজের দায় সারলেন । এখন দেখার খনি অঞ্চল রানীগঞ্জের বিশেষ এই পরিদর্শন স্থল কে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তোলার লক্ষ্যে ইসিএল কর্তৃপক্ষ আদেও আগামীতে কোনো ব্যবস্থা নেন কিনা।
আসানসোলে মন্ত্রী মলয় ঘটকের হাত ধরে তৃনমুল কংগ্রেসে যোগ তিন নির্দল প্রার্থীর