AMC POLLASANSOL

বিজেপি প্রার্থীর ২৭ নং ওয়ার্ডের জন্য আলাদা করে ইস্তেহার প্রকাশ, কটাক্ষ শাসক দলের

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দীপ সেন : পুরনিগম নির্বাচনকে সামনে রেখে আলাদা করে আগামী দিনের পরিকল্পনা সহ আলাদা করে ইস্তেহার প্রকাশ করলেন আসানসোল মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী চৈতালি তেওয়ারি। শনিবার সকালে আসানসোলের রেলপারের আর কে ডাঙ্গালের আখড়া মাঠে এক সাংবাদিক সম্মেলন ইস্তেহার প্রকাশ করা হয় শুধুমাত্র এই ওয়ার্ডের জন্য।


এই প্রসঙ্গে চৈতালী তেওয়ারি বলেন, এই ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত হলে আমি ২৭ দফা কাজ বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করবো যার মধ্যে প্রতি ৩ মাস পর পর এই ওয়ার্ডের মহিলাদের একজন গাইনোকোলজিস্ট বা স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থা করা হবে। ৪০ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য বছরে দুবার বিনামূল্যে ডায়াবেটিস চেক-আপের ব্যবস্থা করা হবেব।ওয়ার্ডে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ছাড়াও গত বছরের বন্যার সময় ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া মানুষের আর্থিক সাহায্য করা হবে।প্রয়োজনীয় ব্রিজ করা হবে । তিনি আরো বলেন, আবার যাতে এলাকা জলে ডুবে না যায় সে জন্য ড্রেন নির্মাণ করা হবে। নারীদের স্বাবলম্বী করতে ইচ্ছুক প্রতি ২০ জন মহিলাকে একটি করপ সেলাই মেশিন দেওয়া হবে।

চৈতালি তিওয়ারি ওয়ার্ডে কমপক্ষে দুটি ম্যারেজ হল নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, পাশাপাশি ওয়ার্ড কাউন্সিলরের অফিসের মাধ্যমে জনসাধারণের সেবা করার জন্য ২৪ ঘন্টা ব্যবস্থা থাকবে। ছট পূজার সময় সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে অভাবী ছট ভক্তদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। তিনি বলেন, এই ওয়ার্ড থেকে জনতার আশীর্বাদ পেলে ২৭ দফা কর্মসূচি সম্পন্ন করবো। এদিনের প্রার্থীর সঙ্গে হরিহর যাদব, ওমনারায়ণ প্রসাদ সহ বিপুল সংখ্যায় মহিলা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য চৈতালি তেওয়ারি আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারির স্ত্রী। এবার তিনি পুর নির্বাচনের লড়াইয়ে নেমেছেন।

.
এর আগে জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে আসানসোল পুরনিগমের ১০৬ টি ওয়ার্ডের জন্য ইস্তেহার প্রকাশ করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই আলাদা করে একটি ওয়ার্ডের ইস্তেহার প্রকাশ হওয়ায় পুর ভোটের প্রচারে রাজনৈতিক চাপান উতর শুরু হয়েছে। শাসক দলের তরফে এই উদ্যোগকে কটাক্ষ করা হয়েছে।


আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলা আইএনটিটিইউসির সভাপতি অভিজিৎ ঘটক বলেন, এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে বিজেপির কি অবস্থা। একটা দলের তরফে পুরনিগমের সব ওয়ার্ডের জন্য ইস্তেহার প্রকাশ করেছে। তারপর একটা ওয়ার্ডের জন্য করতে হয় কিসের জন্য? তিনি আরো বলেন, ঐ ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থীর স্বামী জিতেন্দ্র তেওয়ারি তো দলে থেকে দলের মধ্যে সমান্তরাল দল চালাচ্ছেন। আসানসোলের মানুষ সব দেখছেন।


তবে একটি ওয়ার্ডের জন্য আলাদা করে ইস্তেহার প্রকাশে অন্যায় কিছু দেখছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। দলের জেলা সভাপতি দিলীপ দে বলেন, দলের তরফে বলা আছে, কোন ওয়ার্ডের প্রার্থী মনে করলে, সেই ওয়ার্ডের সমস্যা ও পরিকল্পনা নিয়ে ইস্তেহার প্রকাশ করতে পারে। আর শাসক দলের নেতারা পুকুরের জলে থাকেন। বিজেপি হলো সমুদ্র। তারা কি দুটোর পার্থক্য বুঝবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *