আসানসোলে শুন্যে ৮ রাউন্ড গুলি, বুথ দখলের অভিযোগ ঘিরে ইঁট ছোঁড়াছুঁড়ি, ঘটনাস্থলে আইজি, জখম ৪ পুলিশ, গ্রেফতার ৬
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায় / সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, আসানসোল, ১২ ফেব্রুয়ারিঃ দুপুরের পরে আরো উত্তপ্ত হলো আসানসোল পুরনিগম এলাকা। রেলপারের ধাদকায় বুথের সামনে শুন্যে ৮ রাউন্ড গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এরপর এলাকায় যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি, এই গুলি চালানোর পেছনে শাসক দল আছে বলে জানান। তবে, শাসক দলের তরফে, এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, বিকেল তিনটের পরে পুরনিগমের ৪৭ নং ওয়ার্ডের হটন রোডের বুধার ডিএভি স্কুলের ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে । অভিযোগ, বুথ দখল করার জন্য বেশকিছু বহিরাগত সেখানে এসেছিলো। সেই সময় সিপিএমের এজেন্ট তার প্রতিবাদ করেন। তখন বচসা শুরু হয়। এরপর বাইরে গন্ডগোল শুরু হয়। দুই রাজনৈতিক দলের কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে বচসা লেগে যায়। এক পক্ষ অন্য পক্ষের দিকে ইঁট ছোঁড়া শুরু করে। গোটা এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে আসানসোল পুরনিগমের দায়িত্বে আইজি( পশ্চিমাঞ্চল) সঞ্জয় সিং সেখানে চলে আসেন। বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে আসেন আসানসোল দূর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার এন সুধীর কুমার নীলকান্তম। পুলিশ লাঠিচার্জ করে দুপক্ষকে সরিয়ে দেয়। ইঁট বৃষ্টির মধ্যে পড়ে আহত হয় ৪ পুলিশ কর্মী। তারমধ্যে একজন ডিএসপি পদ মর্যাদার পুলিশ অফিসার আছেন। এরপর এলাকায় সঞ্জয় সিংয়ের নেতৃত্বে রুটমার্চ করে পুলিশ। পরে আইজি পশ্চিমাঞ্চল বলেন, একটা গন্ডগোল হয়েছিলোন। তারমধ্যে ইঁট ছোঁড়া হয়। তাতে ৪ পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, এদিন বিকেল চারটের পরে ৪০ নং ওয়ার্ডে জিটি রোডের উষাগ্রামের বিবি কলেজের বুথে ইভিএম ভাঙচুর করার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, এলাকার বাসিন্দারা ভোট দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। অনেকক্ষুন ভোট দিতে না পেরে তারা দেখেন , বেশ কিছু যুবক ভোট দিচ্ছে। এরপর তারা বুথে ঢুকে চারটি বুথের ইভিএম ভেঙে দেন। খবর পেয়ে এলাকায় আসে পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনের কর্মীরা। জানা গেছে, ইভিএম ভাঙ্গার পাশাপাশি তাতে জলও ঢেলে দেওয়া হয়েছে। একইভাবে আসানসোল পুরনিগমের কুলটি পুর এলাকার ৬৬ নং ওয়ার্ডের বরাকরের একটি বুথে ইভিএম ভাঙা হয়েছে।
Asansol Live election update : আসানসোলে একটা পর্যন্ত ভোট পড়লো ৪৪ শতাংশ, ৪ জন গ্রেফতার
আসানসোলে বেলা গড়াতেই পারদ চড়ছে পুর ভোটের, বিজেপি প্রার্থীর উপর হামলার অভিযোগ
It’s proved that without Central forces fair elections is not possible in West Bengal.