আসানসোল শিল্পাঞ্চলে বাংলা বনধের প্রভাব পড়লো না, আটক ৭০
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, আসানসোল, ২৮ ফেব্রুয়ারিঃ রাজ্যের ২০টি জেলায় ১০৮ টি পুরসভায় নির্বাচন হয়েছে রবিবার। বিজেপির অভিযোগ, এই পুর নির্বাচনে ভোটের নামে প্রহসন চালানো হয়েছে। শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেস ব্যাপক হিংসা ও কারচুপি করেছে। এই অভিযোগ তুলে সোমবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধের ডাক দেওয়া হয়েছিলো রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে।
তবে বিজেপির ডাকা এদিনের ১২ ঘন্টার বাংলা বনধে তেমন কোন প্রভাব পড়লো না আসানসোল শহর তথা শিল্পাঞ্চল জুড়ে
প্রতিদিনের মতোই এদিন আসানসোলের জিটি রোডের বাজার খোলা ছিলো। রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া, কুলটি, বারাবনি, নিয়ামতপুর, বার্ণপুর সহ অন্য জায়গাতেও বাজার দোকান খোলা ছিলো। যানবাহন চলাচল ও জনজীবন ছিল অন্যদিনের মতো স্বাভাবিক। অফিস, আদালত সবই খোলা ছিলো। শিল্প ক্ষেত্রেও এদিন বনধের কোন প্রভাব ছিলোনা।
প্রতিদিনের মতোই এদিন রাস্তায় সরকারি ও বেসরকারি বাস নেমেছিলো। প্রাইভেট বা ব্যক্তিগত গাড়িও চলাচল করেছিলো। অন্য দিনের মতো এদিন স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় সময় মতো খুলেছিলো। পড়ুয়ারাও এসেছিলো।
এদিন কুলটির নিয়ামতপুর মোড়ে আসানসোল পুরনিগমের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর অমিত তুলসিয়ানের নেতৃত্বে বিজেপি কর্মী ও সমর্থকরা নিয়ামতপুর – আসানসোল রাস্তা অবরোধ করে। বেশ কিছুক্ষণ এই অবরোধ চলার পর নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ এসে সেই অবরোধ তুলে দেয়।
আসানসোলের জিটি রোডের গীর্জা মোড় এলাকায় বিজেপি কর্মীরা প্রায় ৩০ মিনিট টায়ার জ্বালিয়ে
পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। পরে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ এসে তা তুলে দেয়। পুলিশ এখান থেকে আটক করে নিয়ে যায় ১৫ জন বিজেপি কর্মীকে।
এছাড়া এদিন বনধকে ঘিরে তেমন কোন গন্ডগোল হয় নি। বিভিন্ন এলাকায় যথেষ্ট সংখ্যায় পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিলো। সন্ধ্যা ছটা পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ।
আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি (সদর) অংশুমান সাহা এদিন সন্ধ্যায় বলেন, আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় এদিন সবমিলিয়ে ৭০ জনকে বনধ সমর্থনকারীকে আটক করা হয়েছিলো।
বাংলা বনধের সমর্থনে কুলটি স্টেশনে রেল অবরোধ বিজেপির
বনধের সমর্থনে এদিন পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের কুলটি স্টেশনে রেল অবরোধ করলো বিজেপি। জেলা নেতা সুব্রত মিশ্র ও টিঙ্ক বর্মার নেতৃত্বে কুলটি স্টেশনে মালগাড়ির ইঞ্জিনের উপরে চেপে ও রেললাইনে বসে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বনধ সমর্থনকারীরা বিজেপির কর্মী ও সমর্থকেরা । বেশ কিছুক্ষণ এই রেল অবরোধ চলার পর আরপিএফের হস্তক্ষেপে তা উঠে যায়।
রেলের তরফে বলা হয়েছে, এই অবরোধে ট্রেন চলাচলে কোন সমস্যা হয়নি।