ASANSOLKULTI-BARAKAR

Anubrata Mondal নির্বাচনী প্রচারে ! অশান্তির আশঙ্কায় নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাবেন অগ্নিমিত্রা পাল

কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা নিয়ে সন্তুষ্ট নন, পদ্ম প্রার্থী

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২৬ মার্চঃ অনুব্রত মণ্ডল হলেন ” ভায়োলেন্সের প্রতীক”। উনি যেখানেই থাকেন সেখানে লাশের বন্যা বয়ে যায়। আমরা শুনেছি তিনি নাকি শাসক দলের হয়ে আসানসোলের লোকসভা উপনির্বাচনের দায়িত্ব পেয়েছেন। তাই আমরা নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ জানাবো যাতে তাকে যেন আসানসোল থেকে সরানোর ব্যবস্থা হয়। আমরা সুস্থ ও শান্তির নির্বাচন চাই। পাশাপাশি রামপুরহাট কাণ্ডের জন্য তৃনমুল কংগ্রেসের বীরভূমের জেলা সভাপতিকে গ্রেফতার করা উচিত, বলে আমরা মনে করি”। শনিবার সকালে নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমকে এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল।

image source facebook


ইতিমধ্যেই আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের শাসক দলের নির্বাচন তদারকির কাজে ইতিমধ্যেই অনুব্রত মন্ডলকে দেখা গেছে। জানা গেছে, বীরভূমের এই দাপুটে নেতাকে আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনের বৈতরণি পার করানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর সেই দায়িত্ব পাওয়ার পরে রামপুরহাট কান্ডের আগে আসানসোলে থেকে মন্ত্রী মলয় ঘটকের উপস্থিতিতে বৈঠকও করেছেন। রামপুরহাট কান্ডের জন্য তাকে তড়িঘড়ি জেলায় ফিরে যেতে হয়। জানা গেছে, রামপুরহাট ঠান্ডা হলে তিনি আবার আসানসোলে আসবেন। আর এখানেই তার আসা নিয়ে অশান্তির আশঙ্কা প্রকাশ করলেন বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল। শনিবার প্রচারে নেমে এই আশঙ্কার কথাই তিনি ব্যক্ত করলেন। আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলছি বিষয়টি দেখার জন্য। আশা করি এই ব্যাপারে শীর্ষ নেতৃত্বও ভাবনা চিন্তা করবে।


অন্যদিকে আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা নিয়েও এদিন কিছুটা হলেও অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিজেপি প্রার্থী। আসানসোল ও বালিগঞ্জ উপনির্বাচনের জন্য ১৩৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে বলে, ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে। কমিশনের এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, শুধু মাত্র আসানসোলের জন্যই ২০০ থেকে ২৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন। তা না হলে সব বুথ কভার করা যাবে না। কারণ বাংলায় মানুষের কোন নিরাপত্তা নেই। কোন গনতন্ত্র নেই। গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে, আসানসোলের জয় জরুরি।


এদিন সকালে প্রথম পর্যায়ে বিজেপি প্রার্থী আসানসোলের ধেমোমেন কোলিয়ারি থেকে মিঠানি হয়ে রোড শো করেন কুলটির নিয়ামতপুর পর্যন্ত। হুডখোলা গাড়িতে তার রোড শো আগে ও পেছনে মাইকে ক্রমাগত বাজছিল আসানসোলের বিজেপি সাংসদ থাকাকালীন বাবুল সুপ্রিয়র সেই বিখ্যাত গান “এই তৃণমূল আর না”। এ প্রসঙ্গে অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, বাবুলদা আমাদের দলে থাকায় সময় এত ভালোবেসে, যত্ন করে গানটি গেয়েছিলেন। এখন আমরা কি তার সেই গানকে অসম্মান করতে পারি বা ফেলে দিতে পারি ? তার গাওয়া সেই গানের মধ্যেই তো রয়েছে “কালীঘাটের টালির চালা- ঐ চোরেদের পাঠশালা”। এই গান আসানসোলের মানুষ তো শুনেছেন। এখানকার মানুষ দেখুক তিনি কিভাবে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করে পালিয়েছেন। মানুষের স্মৃতিতে আনার জন্যই সেই গানকে আমরা নির্বাচনের প্রচারে ব্যবহার করছি।
অতীতে অনুব্রত মণ্ডলের তত্ত্বাবধানে তার জেলায় ও কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আসানসোল বা বাংলায় ভোট হয়েছে। কখনো অশান্তি হয়নি। তাহলে এখন অশান্তির কিসের আশঙ্কা ? আসলে প্রচারে আসার জন্য বিজেপি প্রার্থী এইসব কথা বলছেন।

কটাক্ষ করে মন্তব্য আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী এজেন্ট তথা আসানসোল পুরনিগমের চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়ের।পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃনমুল কংগ্রেসের সভাপতি তথা আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী যত খুশি এনে বিজেপি ভোট করুক। আমাদের কোন আপত্তি নেই। এখানে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই জিতবেন।
এদিন বিকেল থেকে সন্ধ্যা ও রাতে আরো দু’দফায় অগ্নিমিত্রা পাল কুলটির লছিপুর গেট ও লিথুরিয়ায় রোডশো করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *