আসানসোল আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ১১৬ কোম্পানি, মঙ্গলবার থেকে রুটমার্চ
রাজ্য পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তিন ডিসিআরসি ও গণনা কেন্দ্র পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সিও
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২৮ মার্চঃ ( Central Force In By Poll ) আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ১১৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী সেন্ট্রাল ফোর্স মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সংখ্যায় তা সাড়ে আট হাজারের মতো। সোমবার রাতের মধ্যে আসানসোলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কিছু কোম্পানি চলে আসছে। আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সেন্ট্রাল জোনে তা আসবে। সবকিছু ঠিক থাকলে মঙ্গলবার সকালের পরে কেন্দ্রীয় বাহিনী রুটমার্চ শুরু করে দেবে।
নির্বাচন কমিশন, পুলিশ ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, যে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে একটি বুথ সেখানে ভোটের দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর চারজন সশস্ত্র জওয়ান রাখা হবে। যেখানে ২ থেকে ৪ বুথ সেখানে ৮ জন জওয়ান থাকবে। যে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে ৫ থেকে ৮ টি বুথ, সেখানে ১৬ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান রাখা হবে। আর যেখানে ৯ ও তার বেশি বুথ সেখানে ২৪ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সশস্ত্র জওয়ান রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইভিএম রাখার স্ট্রং রুমেও কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে।
যদিও এই সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সন্তুষ্ট নন আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল। সোমবারও তিনি বলেন, এই সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন করানোর জন্য পর্যাপ্ত নয়। আমি চাই ২০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে উপনির্বাচন করানো হোক। যদি আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের সব বুথ কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে কভার করা না হয়, তাহলে কি লাভ? তাহলে তো ভোটের নামে আরো একটা প্রহসন হবে। তিনি আরো বলেন, আমরা দলের তরফে ইতিমধ্যেই ২০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস ও বামেদের তরফের পর্যাপ্ত সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের ভোট করানোর দাবি কমিশনের কাছে করা হয়েছে। তবে, রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেস অবশ্য কত কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে তা নিয়ে চিন্তিত নয়।
দলের তরফে পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি বিধান উপাধ্যায় ও নির্বাচনী এজেন্ট অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, কমিশন যা খুশি দিয়ে ভোট করাক, তাতে আমাদের কোন চিন্তা নেই। আসানসোলের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছেন ও থাকবেন।
এদিকে এদিন সকালে আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের এসিপি (সেন্ট্রাল) মানবেন্দ্র দাস ও অন্য অফিসারদের নিয়ে আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সিও। পরে তারা যান আসানসোলের ধাদকা পলিটেকনিক কলেজ ও রানিগঞ্জের এসকেএস পাবলিক স্কুল। উল্লেখ্য, আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে আগামী ১৬ এপ্রিল ভোট গণনা হবে। পাশাপাশি এই কলেজেই ভোটের পরে ইভিএম রাখার জন্য স্ট্রং রুম করা হয়েছে।
একইসঙ্গে আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজেই তিনটি বিধান সভা আসানসোল উত্তর, আসানসোল দক্ষিণ ও কুলটি বিধানসভার ডিসিআরসি করা হয়েছে। একইভাবে আসানসোলের ধাদকা পলিটেকনিক কলেজে বারাবনি ও জামুড়িয়া এবং রানিগঞ্জের এসকেএস পাবলিক স্কুলে রানিগঞ্জ ও পান্ডবেশ্বর বিধান সভার ডিসিআরসি করা হয়েছে। ভোটের আগের দিন অর্থাৎ ১১ এপ্রিল এই তিন ডিসিআরসি থেকে ভোট কর্মীরা ইভিএম সহ অন্যান্য জিনিস নিয়ে বুথে বুথে যাবেন। ১২ এপ্রিল ভোট শেষ হওয়ার পরে ভোট কর্মীরা ইভিএম সহ অন্যান্য জিনিস এই তিনটি ডিসিআরসিতেই জমা দেবেন। পরে ডিসিআরসি থেকে সাতটি বিধান সভার ইভিএম আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের স্ট্রং রুমে চলে আসবে।