ASANSOL

আসানসোল আদালতে দূরসম্পর্কীয় কাকার যাবজ্জীবন সাজা, এক বছরের ভাইপোকে জলাশয়ে চুবিয়ে খুনে দোষী

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২৮ মার্চঃ ( Asansol Live News Today ) মনসা পূজোর দিন বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে এক বছরের ভাইপো জলাশয়ের জলে চুবিয়ে খুন করায় দোষী সাব্যস্ত দূরসম্পর্কীয় কাকার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হলো । আসানসোল আদালতে প্রায় ৫ বছর ধরে চলা এই খুনের মামলায় শুক্রবার ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে কাকা বোদীনাথ টুডুকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন অতিরিক্ত জেলা জজ ( এডিজে ১) মনোজ কুমার প্রসাদ। সোমবার বিচারক দোষীর সাজা ঘোষণা করেন বলে। এই মামলার প্রধান সরকারি আইনজীবী বা পিপি স্বরাজ ওরফে বাচ্চু চট্টোপাধ্যায় বলেন, এদিন দুপক্ষের আইনজীবির সওয়াল-জবাব শেষে দোষী বোদীনাথ টুডুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে বিচারক ১০ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ারও নির্দেশ দেন। সেই জরিমানা অনাদায়ে তার কারাদণ্ডের মেয়াদ আরো ৬ মাস বাড়বে।


আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসানসোল উত্তর থানার দাসো পাড়ার বাসিন্দা হলেন সাজাপ্রাপ্ত বোদীনাথ টুডু। পাশের পাড়া আসানসোল উত্তর থানার বাঙ্গাল পাড়ায় থাকতেন তার দূরসম্পর্কের দাদা তপন টুডু। তার ছেলে হলো এক বছরের আকাশ টুডু। ২০১৭ সালের ১৯ আগষ্ট ছিলো মনসা পূজো। সেদিন তপন টুডুর বাড়িতে আসে বোদীনাথ টুডু। বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ সে আকাশকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে বেরোয়। এক ঘন্টা পরে বোদীনাথ আকাশকে উলঙ্গ ও অচৈতন্য অবস্থায় বাড়িতে নিয়ে আসে ও বিছানায় শুইয়ে চলে যায়। পরে বাড়ির লোকেরা দেখেন আকাশ মারা গেছে। এরপর তপন টুডু গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে আসানসোল উত্তর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ আকাশের মৃতদেহ নিয়ে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করায়। তাতে পুলিশ জানতে পারে যে, আকাশকে জলে চুবিয়ে খুন করা হয়েছে।

এরপর পুলিশ ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০২ নং ধারায় খুনের মামলা করার পাশাপাশি বোদীনাথকে গ্রেফতার করে। পুলিশের জেরায় সে স্বীকার করে বলে, আকাশকে বাঙ্গাল পাড়ায় একটি জলাশয়ের জলে চুবিয়ে খুন করেছে। পুলিশ সেই জলাশয়ের পাশে জঙ্গল থেকে কাদা মাখা আকাশের জামা ও প্যান্ট পায়। একইসঙ্গে পুলিশ সেখান থেকে একটি জামার বোতাম পায়। একইভাবে পুলিশ বোদীনাথের বাড়িতে তল্লাশি করে তার কাদা মাখা জামা প্যান্ট পায়।


এদিন এই মামলার প্রধান সরকারি আইনজীবী স্বরাজ ওরফে বাচ্চু চট্টোপাধ্যায় বলেন, ঠিক সময়ের মধ্যে তথ্য প্রমান সহ সিডি আদালতে জমা দেওয়ার অভিযুক্ত জামিন পায়নি। সে জেল হাজতেই ছিলো। এই মামলায় সবমিলিয়ে মোট ১৪ জন আদালতে বিচারকের কাছে স্বাক্ষী দেন। এছাড়াও আকাশ ও বোদীনাথের জামা ও প্যান্টের ফরেনসিক পরীক্ষা করায় পুলিশ। তাতে সব কিছু মিলে যায়। এদিন আসানসোল আদালতের বিচারক এডিজে ( ১) মনোজ কুমার প্রসাদ ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০২ নং ধারায় আকাশ টুডুকে খুনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়া বোদীনাথ টুডুর সাজা ঘোষণা করেন ।


জানা গেছে, বোদীনাথ টুডুর বাড়ির পাশের পাড়া আসানসোল উত্তর থানার বাঙ্গাল পাড়ায় থাকতেন তার দূরসম্পর্কের দাদা তপন টুডু। তার ছেলে হলো এক বছরের আকাশ টুডু। ২০১৭ সালের ১৯ আগষ্ট ছিলো মনসা পূজো। সেদিন তপন টুডুর বাড়িতে আসে বোদীনাথ টুডু। বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ সে আকাশকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে বেরোয়। এক ঘন্টা পরে বোদীনাথ আকাশকে উলঙ্গ ও অচৈতন্য অবস্থায় বাড়িতে নিয়ে আসে ও বিছানায় শুইয়ে চলে যায়। পরে বাড়ির লোকেরা দেখেন আকাশ মারা গেছে। এরপর তপন টুডু গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে আসানসোল উত্তর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ আকাশের মৃতদেহ নিয়ে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করায়। তাতে পুলিশ জানতে পারে যে, আকাশকে জলে চুবিয়ে খুন করা হয়েছে।

এরপর পুলিশ ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০২ নং ধারায় খুনের মামলা করার পাশাপাশি বোদীনাথকে গ্রেফতার করে। পুলিশের জেরায় সে স্বীকার করে বলে, আকাশকে বাঙ্গাল পাড়ায় একটি জলাশয়ের জলে চুবিয়ে খুন করেছে। পুলিশ সেই জলাশয়ের পাশে জঙ্গল থেকে কাদা মাখা আকাশের জামা ও প্যান্ট পায়। একইসঙ্গে পুলিশ সেখান থেকে একটি জামার বোতাম পায়। একইভাবে পুলিশ বোদীনাথের বাড়িতে তল্লাশি করে তার কাদা মাখা জামা প্যান্ট পায়।


এদিন এই মামলার প্রধান সরকারি আইনজীবী স্বরাজ ওরফে বাচ্চু চট্টোপাধ্যায় বলেন, ঠিক সময়ের মধ্যে তথ্য প্রমান সহ সিডি আদালতে জমা দেওয়ার অভিযুক্ত জামিন পায়নি। সে জেল হাজতেই ছিলো। এই মামলায় সবমিলিয়ে মোট ১৪ জন আদালতে বিচারকের কাছে স্বাক্ষী দেন। এছাড়াও আকাশ ও বোদীনাথের জামা ও প্যান্টের ফরেনসিক পরীক্ষা করায় পুলিশ। তাতে সব কিছু মিলে যায়। শুক্রবার আসানসোল আদালতের বিচারক এডিজে ( ২) মনোজ কুমার প্রসাদ ৩০২ নং ধারায় আকাশ টুডুকে খুনের অভিযোগে বোদীনাথ টুডুকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। আগামী সোমবার বিচারক তার সাজা ঘোষণা করবেন। তবে ঠিক কি কারণে বোদীনাথ টুডু এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা পরিষ্কার হয়নি। তবে সব কিছুই অভিযুক্তর দোষ প্রমান করেছে, তাই বিচারক এই রায় দেন বলে প্রধান আইনজীবী জানান।

News Editor

Mr. Chandan | Senior News Editor Profile Mr. Chandan is a highly respected and seasoned Senior News Editor who brings over two decades (20+ years) of distinguished experience in the print media industry to the Bengal Mirror team. His extensive expertise is instrumental in upholding our commitment to quality, accuracy, and the #ThinkPositive journalistic standard.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *