অন্ডাল এলাকা কি চোরেদের মুক্তাঞ্চল হয়ে গেছে ? লাগাতার ছটি দোকানে চুরি
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ: অন্ডাল থানা এলাকা কি চোরেদের মুক্তাঞ্চল হয়ে গেছে ? চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও খুনের ঘটনা কি এখানে নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে উঠেছে ? মঙ্গলবার লাগাতার ছটি দোকানে চুরির ঘটনায় এই প্রশ্ন উঠেছে প্রত্যেকের মুখে। এবার চোরের দল লুটপাট চালায় ছটি দোকানে যার মধ্যে গোলদারি দোকান, মুদিখানা দোকান, মিষ্টির দোকান ও ফাস্টফুডের দোকানে দুষ্কৃতী দল রাতের অন্ধকারে দোকানের অ্যাসবেস্টর চাল ভেঙ্গে চুরি করে দোকানে থাকা মূল্যবান সামগ্রী ও টাকাপয়সা। পাশাপাশি লুট করে নিয়ে যায় কাজু, কিসমিস, পেস্তা সহ বেশকিছু মূল্যবান খাবার সামগ্রী ও প্রসাধনসামগ্রী। এর পাশাপাশি দোকানে লুট করার সাথে দোকানের চারিপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে নষ্ট করে দোকানের বেশ কিছু সামগ্রী।
মঙ্গলবার তিনটে নাগাদ স্থানীয়রা বিষয়টি লক্ষ্য করে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। একটির পর একটি দোকানের দোকানিরা নিজেদের দোকান তল্লাশি করতেই দেখতে পায় চুরির ঘটনা। চোরের দল লুটপাট চালিয়ে তছনছ করেছে দোকানের সমস্ত সামগ্রী। মঙ্গলবার এই বিষয়ে লক্ষ্য করে অন্ডাল থানার পুলিশকে ঘটনার খবর দিলে ঘটনাস্থলে অন্ডাল থানার পুলিশ পৌঁছে সমগ্র ঘটনার তদন্ত শুরু করে। তবে অন্ডাল থানা এলাকাতেই বারংবার এ ধরনের একের পর এক চুরির ঘটনা, ডাকাতির ঘটনা, হত্যার ঘটনা, ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটার বিষয় নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকার বাসিন্দারা।
ইতিমধ্যেই কয়েকদিন আগেই অন্ডাল সাউথ বাজার এলাকায় সিদ কেটে চুরির ঘটনায় হতচকিত হয়ে পড়ে সকলেই, সে ক্ষেত্রে চোরের দল কয়েক লক্ষ টাকার মূল্যবান মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে যায়, তবে সেই চুরির কিনারা এখনো হয়নি, একইভাবে এক সপ্তাহ আগে অন্ডালের বনবহাল ফাড়ি এলাকায় ডাকাত দলের ছয় সদস্য আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতির বাড়িতে ব্যাপকভাবে লুটপাট চালায়, এরকমভাবে বেশ কয়েকটি এলাকাতেই বারংবার চুরির ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে অন্ডাল অঞ্চলে, অন্ডালের বেশ কয়েকটি খনি এলাকায় চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পাশাপাশি পেট্রোল পাম্পে ডাকাতি, ছিনতাইবাজের দল জাতীয় সড়কের উপরে থেকে ছিনতাই করে নিয়েছে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা যা সিনেমার কায়দায় ছিনতাই করে পালিয়ে গেলেও আসানসোল পুলিশ কমিশনার পুলিশ, আসানসোলের বারাবনি ও কন্যাপুরের মাঝে ওই দুষ্কৃতী কে ধরতে সমর্থ হয়।
তবে বারবার অন্ডাল থানা এলাকাতেই কেন দুষ্কৃতীরা তাদের দুষ্কৃতী মূলক কাজের বেছে নিচ্ছে তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও সকলেই হতবাক। মঙ্গলবারও চুরির ঘটনা ঘটার পর এলাকার বাসিন্দাদের একটাই দাবি পুলিশ এসেছে সমস্ত কিছু চুরির বিষয় লিখে নিয়ে গেছে কিন্তু আদৌ কি এই চুরি বন্ধ হবে তা নিয়েই সকলেই সন্দিহান। কারণ পড়াশকোলের এই এলাকায় এর আগেও ঐসকল দোকানগুলিতে চুরির ঘটনা ঘটে গেছে, যার কিনারা এখনো পর্যন্ত হয়নি বলেই দাবি করেছেন ওই সকল দোকানের দোকানিরা। তাই বারংবার চুরির ঘটনা ঘটে থাকলেও নিরুত্তর থেকেছে পুলিশ প্রশাসন বলে জানিয়েছেন তারা।