ASANSOL

সব ভুলে সংঘবদ্ধভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেতানোর আহ্বান, তৃনমুল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, আসানসোল, ৩১ মার্চঃ মানসিক তফাত থাকতে পারে। থাকতে পারে মত বিরোধও। কারোর প্রতিপত্তি দেখে মনে হতে পারে, ও দু কদম এগিয়ে যাচ্ছে। এইসব কিছু ভুলে যান। সবাই সংঘবদ্ধভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেতানোর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ুন। মনে রাখবেন এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোট।


বৃহস্পতিবার দুপুরে আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনে আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনের জন্য দলের এক কর্মী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলের নিচুতলার কর্মীদের উজ্জীবিত করতে এমনই মন্তব্য করেন তৃনমুল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব সময় বলেন দলের কর্মীরাই আমার সব। উপনির্বাচনে লড়াই করা খুব একটা কঠিন নয়। কিন্তু আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন সেইদিক থেকে অনেক তাৎপর্য পূর্ণ। গোটা ভারতবর্ষ এইদিকে তাকিয়ে আছে। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটা ইতিহাস। তিনি প্রথম দেশে সচিত্র পরিচয় পত্রের জন্য রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছিলেন। আজ তারজন্য দেশের প্রায় ৯০ কোটি মানুষের হাতে তা আছে। বাংলার মানুষেরা তার সঙ্গে আছেন বলেই ২০১১, ২০১৫ ও ২০২১ পরপর তিনবার তিনি সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন।

আর ২০২১ সালের বিধান সভা নির্বাচনে কি হয়েছিল তা সবার জানা। এমনকি আমার দলের অনেকেই ভেবেছিলেন দল আর ক্ষমতায় ফিরবে না। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার জেতেন। এখন গোটা ভারতবর্ষ তাকে ডাক দিয়েছেন। ২০২১ সালে বাংলা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রথে চেপেছেন। সেই রথ ২০২৪ এ দিল্লি গিয়ে থামবে। আর যে বা যারা সেই রথের সামনে আসবে, তারা চাকায় চাপা পড়ে যাবে। কেউ তাদেরকে তোলার জন্য থাকবেনা। রথের প্রসঙ্গে, সুব্রত বক্সি পুরীর জগন্নাথের রথ ও সেই রথে চেপে মাসির বাড়ি যাওয়ার কথা বলেন। এদিনের সভায় বক্তব্য রাখেন রাজ্যের আইন ও পূর্ত দপ্তরের মন্ত্রী মলয় ঘটক, শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় ও আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। এছাড়াও ছিলেন জেলা সভাপতি বিধান উপাধ্যায়, রাজ্যের সম্পাদক ভি শিবদাসন তরফে দাসু, আসানসোল পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলা আইএনটিটিইউসির সভাপতি অভিজিৎ ঘটক।

News Editor

Mr. Chandan | Senior News Editor Profile Mr. Chandan is a highly respected and seasoned Senior News Editor who brings over two decades (20+ years) of distinguished experience in the print media industry to the Bengal Mirror team. His extensive expertise is instrumental in upholding our commitment to quality, accuracy, and the #ThinkPositive journalistic standard.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *