ASANSOL

কাঠগড়ায় রাজ্য পুলিশ, বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে থাকা সংবাদ মাধ্যমকে আটকানোর অভিযোগ

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত,  আসানসোল : আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হলো সংবাদ মাধ্যমকে। বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের সঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের একাধিক প্রতিনিধিরা গাড়িতে ছিলেন। বাধা বা আটকানোর অভিযোগ উঠেছে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে। বারোটার সময় এই ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের বারাবনি সভার লালগঞ্জ এলাকায়। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

প্রায় ৪০ মিনিট আটকে রাখা হয় সংবাদ মাধ্যমকে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি সেখানে পৌঁছান আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি (পশ্চিম)  অভিষেক মুদি। তিনি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের বলেন, আপনারা যেতে পারেন। যদিও তাতে বিতর্ক থামেনি। প্রশ্ন উঠছে, জাতীয় নির্বাচন কমিশন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের অনুমতি সহ কার্ড দিয়েছে। সেখানে পুলিশ কি করে আটকায়? সাফাই দিতে গিয়ে পুলিশ আধিকারিক বলেন, আমরা সংবাদ মাধ্যমকে আটকায়নি বা বাধা দেওয়া হয় নি। বিজেপির  প্রার্থীর সঙ্গে কনভয় ছিলো। যা তিনি নিয়ে যেতে পারেননা। তাই আটকানো হয়েছিলো।পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।


এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, এই ভাবেই তৃনমুল কংগ্রেস পুলিশ ও প্রশাসনকে দিয়ে ভোট করানোর চেষ্টা করছে। তারা সংবাদ মাধ্যমকেও স্বাধীনতা দিতে চায়না।
এদিন সকাল থেকে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা রয়েছেন। ভোট দেওয়ার পরে তিনি বিভিন্ন অভিযোগ পেয়ে বারাবনি যান। সংবাদ মাধ্যমের গাড়ি তার সঙ্গে যায়। বেলা বারোটার সময় লালগঞ্জে তার গাড়ি আটকায় পুলিশ। ছিলেন আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের এডিসিপি ( এসবি) সৌমিক সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, কনভয় যাবেনা।

সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে, কার নির্দেশে আটকানো হয়েছে? অগ্নিমিত্রা পালও গাড়ি থেকে নেমে ঐ পুলিশ অফিসারের কাছে জানতে চান। তখন তিনি একবার বলেন নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ আছে। তা লিখিত আছে কিনা দেখান। তখন তিনি বলেন, মৌখিক আছে। পরে বলেন, ডিএম  বলেছেন। পরিস্থিতি অন্যদিকে, চলে যেতে শুরু করে। কলকাতা থেকে নির্বাচন কমিশন গোটা ঘটনায় হস্তক্ষেপ করে। শেষ পর্যন্ত ছেড়ে দেওয়া হয় সংবাদ মাধ্যমকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *