আসানসোলে রেলের একাধিক স্কুল নিয়ে আচমকা বিজ্ঞপ্তি জারি, আতঙ্কে ছাত্র-ছাত্রী থেকে শিক্ষকরা
বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল: রেল হাসপাতাল বেসরকারিকরণের প্রস্তাবে নিয়ে হইচই শেষ হতে না হতেই এবার আসানসোল ডিভিশনের রেলের হাই স্কুল গুলোর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ল। বুধবার আসানসোলের সিনিয়র ডিভিশনাল পার্সোনাল অফিসার আসানসোল এবং অন্ডালের মোট দুটিহাই স্কুল এবং একটি হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে এক চিঠি পাঠান এবং ওই চিঠিটি নোটিশ বোর্ডে ঝুলিয়ে দিতে বলা হয় । চিঠিতে পরিষ্কার করে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে ওই স্কুল গুলিতে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে আর ভর্তি করা যাবে না।
একই সঙ্গে ওই চিঠিতে বলা হয়েছে রেল পর্ষদের নির্দেশ মেনে এবং পূর্ব রেলের সমীক্ষা মত দেখা যায় এই স্কুলগুলিতে অত্যন্ত কম সংখ্যক রেল কর্মীদের ছেলেমেয়েরা পড়ুয়া হিসেবে আছেন ।স্বাভাবিকভাবেই ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে স্কুলগুলো চালানোর যুক্তি নেই। এই কারণে ওই নোটিশে বলা হয়েছে বর্তমানে যেসব ছাত্ররা এইসব বিদ্যালয় পড়ছে তাদের অভিভাবকরা কাছাকাছি বা পার্শ্ববর্তী কোনও বিদ্যালয় তাদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে যেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে রেলের একটি নির্দিষ্ট প্রফর্মা অনুযায়ী ফর্মে আবেদন করতে হবে। কোন স্কুলে তারা তাদের সন্তানদের নিয়ে যেতে চান । রেল কর্তৃপক্ষ ওই আবেদন গুলি সেইসব স্কুলে পাঠিয়ে দেবেন। তবে তাদের ভর্তি নেবে কি নেবে না সেটা সেইসব স্কুল এর উপরেই নির্ভর করবে। এর জন্য অবশ্য রেল কোনো গ্যারান্টি বা প্রতিশ্রুতি দেবে না। আসানসোল ডিভিশন এর পক্ষ থেকে এই চিঠি পাওয়ার পর ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষকদের মধ্যে রীতিমতো আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ।তারা ধরে নিয়েছেন স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার জন্য ভদ্রভাবে এটিই হল রেলের বিজ্ঞপ্তি ।
এর প্রতিবাদে আসানসোল ডিভিশনে কংগ্রেসের ব্রাঞ্চ টু এর সাধারণ সম্পাদক রাম প্রসন্ন ঘোষ বলেন আমরা আজই চিঠি হাতে পেয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রথমেই আমরা ডিআরএম এবং জিএমকে চিঠি দেব। কয়েকদিনের মধ্যে যদি এই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার না করা হয় তাহলে আমরা ব্যাপকভাবে আন্দোলন করবো। তিনি বলেন যদি ধরে নিই রেল কর্মীদের মাত্র কুড়ি শতাংশ ছেলেমেয়েরাও পড়ে, তাহলে তাদের ভবিষ্যৎ কি হবে ।এটা আমাদের কাছে বড় প্রশ্ন। পাশাপাশি বহিরাগত যারা পড়ুয়া সেই সব ছাত্রছাত্রীর বা কি হবে ।
অন্যদিকে ইস্টার্ন রেলওয়ে মেন্স ইউনিয়নের আসানসোল ডিভিশনে নেতা সুধীর রায় বলেন বিষয়টি আমরা আমাদের পূর্ব রেলের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ কে এদিন বিকেলেই জানিয়েছি। তিনি বলেন অফিস খুললেই জেনারেল ম্যানেজার কে এই নিয়ে প্রতিবাদ করে চিঠি দেয়া হবে। যদি ওরা তা প্রত্যাহার না করেন তাহলে আমরাও বড় ধরনের আন্দোলনে যাব। শিক্ষা মৌলিক অধিকার ।তাই স্কুল আমরা কিছুতেই বন্ধ হতে দেবো না।