আসানসোল বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে বিক্ষোভে মদত দেওয়ার অভিযোগ, তিন নেতাকে শোকজ করে জবাব তলব
বেঙ্গল মিরর,রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ১৯ এপ্রিলঃ আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে হারের পর আসানসোল সাংগঠনিক জেলায় বিজেপি নেতৃত্বের মধ্যেই অন্তর্দ্বন্দ্ব ক্রমেই বাড়ছে। ইতিমধ্যেই দিন দুয়েক আগে দলের হারের কারণ জানতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখানোর পেছনে মদত দেওয়ার অভিযোগে জেলার দুই সহ-সভাপতি ও একজন অফিস ইনচার্জকে জেলা সভাপতি দিলীপ দে শোকজ করেছেন। তাদের কাছ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে।
এদিকে বুধবার বিকেলে আসানসোলের ধাদকা মোড় সংলগ্ন ২ নং জাতীয় সড়ক লাগোয়া বিজেপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একটি বৈঠক হয়। জেলার সাংগঠনিক স্তরের এই বৈঠকে জেলার পর্যবেক্ষক বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী, রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় সহ ছিলেন জেলা সভাপতি দিলীপ দে ,সাধারণ সম্পাদক বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যরা । এদিনের বৈঠকে দুই নেতা শোকজের জবাব দেননি ও তারা উপস্থিতও ছিলেন না। বৈঠকে মন্ডল স্তরের পর্যন্ত নির্বাচন ও আগামী ২ মের আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি হয়। এ দিনের বৈঠকে দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব বা লোকসভা উপনির্বাচনে হার নিয়ে অবশ্য কেউ কোনো প্রশ্ন তোলেন নি।
অন্যদিকে, আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি লক্ষীর ভান্ডার সহ রাজ্য সরকারের যেসব সামাজিক প্রকল্প সেটি সহ দুটি বিষয় নিয়ে মঙ্গলবারই টুইট করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে তৃনমুল কংগ্রেসের জয় এর পেছনে অন্যতম বড় কারণ। তা নিয়ে দলের বিভিন্ন মহলে নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। তৈরী হয়েছে জল্পনাও। বুধবার বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে কুলটি বিধান সভার নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা বিবেকানন্দ ভট্টাচার্য বলেন, জিতেন্দ্র তেওয়ারির মুখোশ খুলে গেছে। আরো খুলবে।
এই বিষয়ে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বিবেকানন্দ বাবুর কথার উত্তর দিতে চাননি।
এদিকে, জিতেন্দ্র তেওয়ারির টুইট নিয়ে তৃনমুল কংগ্রেসের যোগদান নিয়ে তৃনমুল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক তথা আসানসোল পুরনিগমের কনভেনার ভি শিবদাসন তরফে দাসু এদিন বলেন, আমি এই ব্যাপারে কি বলবো। দলে কে আসবে সেটা তো ঠিক করেন রাজ্য নেতৃত্ব।