ASANSOL

আসানসোলে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকরা

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : রেলওয়ে স্কুল বন্ধ করার নির্দেশের বিরুদ্ধে অভিভাবকরা আসানসোলে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখালেন। রেলওয়ে পরিচালিত স্কুলগুলো বন্ধের নির্দেশ জারি করার পর অভিভাবকদের মধ্যে রীতিমত ক্ষোভ রয়েছে, এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বেশ কিছু অভিভাবক রাস্তায় নেমে প্রথমে আসানসোল জিটি রোডে অবস্থিত পূর্ব রেলওয়ে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। অভিভাবকদের বিক্ষোভের জেরে জিটি রোড অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। স্বভাবতই জিটি রোড অবরুদ্ধ হয়ে পড়ার কারণে শহরে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।

বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা বলেন, তারা কোনো অবস্থাতেই তাদের সন্তানদের এখান থেকে অন্য স্কুলে নিয়ে যাবেন না, এই স্কুলেই তারা ছেলেমেয়েদের পড়াবেন, রেল প্রশাসনের এই আদেশ তুঘলকি, হাজার হাজার শিশুর ভবিষ্যত নিয়ে খেলা করা হচ্ছে। বেসরকারি স্কুলে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে ইস্টার্ন রেলওয়ে হাইস্কুলেও আন্দোলনের প্রস্তুতি চলছে, কিছুক্ষণ পর সেখানে অভিভাবক ও কংগ্রেসের তরফে বিক্ষোভ দেখানো হবে।

উল্লেখ্য আসানসোলের সিনিয়র ডিভিশনাল পার্সোনাল অফিসার আসানসোল এবং অন্ডালের  মোট দুটিহাই স্কুল এবং একটি হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে এক চিঠি পাঠান এবং ওই চিঠিটি নোটিশ বোর্ডে ঝুলিয়ে দিতে বলা হয় । চিঠিতে পরিষ্কার করে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে ওই স্কুল গুলিতে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে আর ভর্তি করা যাবে না।

একই সঙ্গে ওই চিঠিতে বলা হয়েছে রেল পর্ষদের নির্দেশ মেনে এবং পূর্ব রেলের সমীক্ষা মত দেখা যায় এই স্কুলগুলিতে অত্যন্ত কম সংখ্যক রেল কর্মীদের ছেলেমেয়েরা পড়ুয়া হিসেবে আছেন ।স্বাভাবিকভাবেই ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে স্কুলগুলো চালানোর যুক্তি নেই। এই কারণে ওই নোটিশে বলা হয়েছে বর্তমানে যেসব ছাত্ররা এইসব বিদ্যালয় পড়ছে তাদের অভিভাবকরা কাছাকাছি বা পার্শ্ববর্তী কোনও বিদ্যালয় তাদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে যেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে রেলের একটি নির্দিষ্ট  প্রফর্মা অনুযায়ী ফর্মে আবেদন করতে হবে। কোন স্কুলে তারা তাদের সন্তানদের নিয়ে যেতে চান ।

রেল কর্তৃপক্ষ ওই আবেদন গুলি সেইসব স্কুলে পাঠিয়ে দেবেন। তবে তাদের ভর্তি নেবে কি নেবে না সেটা সেইসব স্কুল এর উপরেই নির্ভর করবে। এর জন্য অবশ্য রেল কোনো গ্যারান্টি বা প্রতিশ্রুতি দেবে না। আসানসোল ডিভিশন এর পক্ষ থেকে এই চিঠি পাওয়ার পর ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষকদের মধ্যে রীতিমতো আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ।তারা ধরে নিয়েছেন স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার জন্য ভদ্রভাবে এটিই হল রেলের বিজ্ঞপ্তি ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *