আসানসোলে অভিভাবকদের প্রতিবাদ, ডিআরএম অফিসে ঢুকতে গিয়ে আরপিএফ-এর সঙ্গে ধস্তাধস্তি
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় 🙁 Asansol News Today In Bengali ) আসানসোলে অভিভাবকদের প্রতিবাদ, ডিআরএম কার্যালয়ে ঢুকতে গিয়ে কর্তব্যরত আরপিএফ-এর সঙ্গে ধস্তাধস্তি। তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্রের নেতৃত্বে মিছিল, রাস্তা অবরোধ করা হয়। প্রথমে আসানসোল বাজার জিটি রোডে অবস্থিত ইস্টার্ন রেলওয়ে হাইয়ার সেকেন্ডারি স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। সেখান থেকে তিনি মিছিল নিয়ে ডিআরএম অফিসে যান। যেখানে আরপিএফ তাদের থামানোর চেষ্টা করে। এ সময় ধস্তাধস্তি হয়, পরে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের থামানো হয়।চেয়ারম্যান অমরনাথ চ্যাটার্জি, ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক, ওয়াসিম-উল-হক, প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্রের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল ডিআরএম পরমানন্দ শর্মার সাথে দেখা করেন। অভিভাবকদের সমর্থনে রাজীব মুখার্জি, শিক্ষক সংগঠনের মুকেশ ঝা সহ বহু সংখ্যক শিক্ষকও রাস্তায় নেমেছেন।
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2024/05/img-20240520-wa01481045365085360283686-500x428.jpg)
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2024/09/img-20240909-wa00806721733580827251668.jpg)
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2024/12/fb_img_17339279922403722767543487143310-476x500.jpg)
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2022/04/VideoCapture_20220425-130020-500x275.jpg)
অশোক রুদ্র বলেন, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলা করছে। এই স্কুলটি বন্ধ করা হচ্ছে, এটি একটি ঐতিহাসিক স্কুল, আসানসোলের প্রথম বাংলা মাধ্যম স্কুল। এসব স্কুল বন্ধের নির্দেশ জারি করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ । সে দুর্ভাগা। যে সব স্কুলে ৬২ শতাংশের বেশি শিশু পড়াশোনা করে সেসব স্কুল বন্ধ করা সম্পূর্ণ অন্যায়। তিনি বলেন, ভারতের সংবিধানে শিশুদের শিক্ষার অধিকার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিশুরা।
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2022/04/IMG-20220425-WA0080-500x375.jpg)
অভিভাবকরা বলেছেন যে এই স্কুলগুলির বয়স ১২৫ বছর এবং রেলওয়ের গ্রুপ ডি কর্মচারীদের সন্তানরাও এই স্কুলগুলিতে পড়াশোনা করে। এই স্কুলগুলোকে বাঁচানো একান্ত প্রয়োজন। তারা বলেন
যদি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলি সরকারী প্রতিষ্ঠানের চেয়ে ভাল হত তাহলে আজকের দিনে আইআইটি, এইমস বা কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সেরা হত না । পাশাপাশি তারা এও বলেন, যেহেতু রেলওয়ের কর্মচারীদের বিপুল সংখ্যক ছেলেমেয়ে এই স্কুলে পড়াশোনা করেন তাই তাদের আশা যে ডিআরএম তাদের কথা শুনবেন এবং এই স্কুলগুলিকে বন্ধের হাত থেকে রক্ষা করবেন।