কুলটিতে রাবন এর কুশপুত্তলিকা দহন,সম্প্রীতির বার্তা , মহাবীর আখড়ার দলকে ফুলের মালা পরিয়ে সম্বর্ধনা মুসলিম সম্প্রদায়ের
বেঙ্গল মিরর, কাজল মিত্র, কুলটি :- প্রত্যেক বছরও মত এই বছর করা হল আখড়ার অনুষ্ঠানের পাশাপাশি আখড়া খেলার শেষে রাবণ দাহ করা হয় কুলটির ইসকো ময়দানে।রবিবার রাত্রে করা হয় রাবণ দহন। তবে এদিন পুলিশি ব্যাবস্থা ছিলো আঁটোসাটো।
তার আগে কুলটির বিভিন্ন এলাকায় আখড়া খেলা হয়। কুলটির উত্তর কুয়রী পাড়া আখড়া কমিটির উদ্দেশ্য করা হয়েছিল এই অনুষ্ঠান। যেখানে পুলিশের ব্যাবস্থা ছিলো আঁটোসাটো। রাবণ দাহ দেখতে দূর দূরান্ত থেকে আসে বহু মানুষ । উল্লেখ্য যে হনুমান জয়ন্তীর ৮ দিন পর এই ধার্মিক অনুষ্ঠান করে থাকে উদ্যগতারা।
উদ্যোক্তাদের এক সদস্য জানায় যে আখড়ার আয়োজন করা হয়েছে। এখানে পুলিশ প্রশাসন আমাদের যথেষ্ট সাহায্য করবেন এছাড়া আমাদের নিজস্ব ভলান্টিয়াররা থাকছেন যাতে কোনো রকম দুর্ঘটনা না ঘটে তার জন্য ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের উদ্যোগে কুলটি থানা এলাকার কুলটির ইসকো ময়দানে রবিবার রাত্রে সম্পন্ন হলো রাবণ দহন অনুষ্ঠান। এদিন রাবণ দাহ করার পর অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
অন্যদিকে রামনবমী বা মহাবীর আখড়ায় দেশের বিভিন্ন রাজ্যে দেখা মিলছে শুধু একই চিত্র কোথাও পাথর ছোড়ার ঘটনা কোথাও বা দাঙ্গার রূপ নিয়ে নেওয়া। সম্প্রীতি দিল্লির জাহাঙ্গরপুরীতে এমনই এক ঘটনা ঘটল যেখানে মহাবীর আখড়ার মিছিলে পাথর ছোড়া কে কেন্দ্র করে দাঙ্গার রূপ নিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সেরকমই নিত্যদিন বহু রকমের বহু ঘটনা ঘটে চলেছে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে। কিন্তু এসব দৃশ্য কে ছাপিয়ে সম্প্রীতির বার্তা দেখা মিলল মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে।
দৃশ্যটি আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কুলটি থানা অন্তর্গত কুলটির কেন্দুয়া বাজার এলাকার যেখানে গতকাল রাত্রে মহাবীর আখড়ার সভা যাত্রা বের করা হয় হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে । সেই মহাবীর আখড়ার সদস্যদেরকে পুষ্প বর্ষা করে এবং ফুলের মালা পরিয়ে সম্প্রীতির বার্তা দিল মুসলিম সম্প্রদায় । কুলটির 63 নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার আক্তার হোসেন সে তার সমর্থকদের নিয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মহাবির আখড়ার সদস্যদের ফুলের মালা পরিয়ে নজর গড়লেন এলাকায় ।