এক লহমায় কালবৈশাখীর ঝড়ে গুঁড়িয়ে গেল বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে সচ্ছল হওয়ার স্বপ্ন
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জি, পুরুলিয়া : রবিবারের রাত্রে কালবৈশাখী ঝড়ে গুড়িয়ে দিল পুরুলিয়ার জয়পুর থানা এলাকার, বড়গ্রাম পঞ্চায়েতের, কুসুম টিকরী গ্রামের শেষ প্রান্তে অবস্থিত পোল্ট্রি ফার্ম। এক বছর আগে ধার-দেনা করে গ্রামের সাতজন বেকার ছেলেদের নিয়ে প্রত্যন্ত গ্রামে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে গড়ে তুলেছিল গ্রামেরই যুব সদস্য সুব্রত মাহাতো, গড়ে তুলেছিল মাংসের চাহিদা পূরণে পোল্ট্রি মুরগির ফার্ম হাউস। যার মধ্যে মাস তিনেক ধরে প্রায় 10 হাজারের মত মুরগী পালন করে ,চলছিল বাজারে মাংসের চাহিদা পূরণের উদ্যোগ।
রবিবার অল্প কয়েক মুহূর্তের কালবৈশাখীর ঘূর্ণিঝড়ে তছনছ করে দিলো যুব সদস্যের সকল স্বপ্ন। করোনাকালে কোনক্রমে টাকা ধার করে ব্যাংক থেকে চড়া সুদে গ্রামের শেষ প্রান্তে গড়ে ওঠে পোল্ট্রি ফার্ম , এরপর রবিবার রাত্রে হঠাৎ করেই ঘূর্ণিঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে যায় ফার্ম হাউসের চালা থেকে শুরু করে পোল্ট্রি ফার্মে থাকা বেশ মুরগি। এদের প্রায় তিন হাজারের মতো পূর্ণবয়স্ক মুরগি চাপা পড়ে যায় অ্যাসবেস্টসের চালার নিচে বলে দাবি করেন পোল্ট্রি ফার্মের মালিক।
যদিও পরে স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা ও ফার্ম হাউজে কর্মরত কর্মীরা উদ্ধার করে, একই সাথে ফার্ম হাউস এর মধ্যে থাকা প্রায় 10 হাজার টাকা মূল্যের মুরগির খাবার নষ্ট হয়ে যায়। মুহূর্তের এই ঘূর্ণিঝড়ের ভেঙ্গে তছনছ হয়ে যায় বেকার যুবকের সচ্ছল হওয়ার স্বপ্ন। সোমবারই এ বিষয়ে ওই পোল্ট্রি ফার্মের মালিক সুব্রত মাহাতো ঘূর্ণিঝড়ে তছনছ হয়ে যাওয়া পোল্ট্রি ফার্মের অবস্থা প্রসঙ্গে পঞ্চায়েতের প্রধান যুধিষ্ঠির কালিন্দী, ও জয়পুর সমষ্টি উন্নয়ন দপ্তরের আধিকারিক বিশ্বজিৎ দাস কে প্রাথমিক পর্যায়ে এ ঘটনা প্রসঙ্গে জানান দেন।
এদিনের এই ঘটনা প্রসঙ্গে সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন ঘূর্ণিঝড়ের কারণে পোল্ট্রি ফার্ম তছনছ হয়ে যাওয়ার ঘটনাটি তিনি জানতে পেরেছেন এ প্রসঙ্গে তিনি বিডিও দপ্তরের আধিকারিকদের খোঁজখবর নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন বলেই জানান তাঁর বক্তব্যে।