ASANSOLKULTI-BARAKAR

আসানসোলের বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানায় ১৫০ টির বেশি কয়লা বোঝাই গাড়ি থমকে, টুইট করে কটাক্ষ বিরোধী দলনেতার

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ১৭ মেঃ ( Asansol Live News Today ) লক্ষ্য বেআইনি কয়লায় রাশ টানা। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলে বাংলা ও ঝাড়খন্ড সীমানার ডুবুরডিহি চেকপোস্ট এলাকায় ভিন রাজ্য থেকে আসা কয়লার গাড়ির তল্লাশি নিয়ে অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছে আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ। গাড়ির সব কাগজ পরীক্ষা করা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে, কয়লা আনার ডিও বা ডেলিভারি অর্ডার আছে কিনা। এর ফলে অনেক সময় লাগছে বা দেরী হচ্ছে কয়লা বোঝাই গাড়ি ছাড়তে। আসানসোলের বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমানায় গত তিনদিন ধরে আটকে রয়েছে শতাধিক কয়লা বোঝাই লরি ও ডাম্পার। হয়রানির শিকার হচ্ছেন চালকরা। অন্যদিকে কয়লার ভাড়ারে টান পড়ছে বিভিন্ন কারখানা ও তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলিতে।

file photo


বেআইনি কয়লায় লাগাম টানতে সম্প্রতি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই ভিনরাজ্য থেকে যে কোন ধরনের কয়লা বোঝাই গাড়ির বৈধ কাগজ যাচাইয়ের জন্যে এই রাজ্যে ঢোকার মুখেই ২ নম্বর জাতীয় সড়কে কল্যানেশ্বরীর কাছে ডুবুরডিহি চেকপোস্টে এলেই তা আটকে দেওয়া হচ্ছে। এই তল্লাশিতে আটকে যাচ্ছে ইসিএল ও বিসিসিএলের খনি থেকে আসা কয়লার গাড়িগুলিও। প্রয়োজনে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইসিএল ও বিসিসিএলের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হচ্ছে। কিন্তু উত্তর যথা সময়ে না এসে পৌঁছানোতে বিপাকে পড়ছেন চালকেরা। যে কয়লা তাদের ২৪ ঘন্টায় আনলোড হওয়ার কথা তা গাড়িতে বোঝাই অবস্থাতে সীমানাতেই তিনদিন থেকে দাঁড়িয়ে আছে।

এই অবস্থায় চালকদের ভাঁড়ারে টান পড়ছে। তাই তারা বাধ্য হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন। সোমবার রাত্রের পর থেকেই তারাও ২ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। পুলিশ এসে তাদের হঠিয়ে দেয়। তবে তিনদিন ধরে আটকে থাকা কয়লা বোঝাই লরি ও ডাম্পারগুলি সোমবার রাতেই ছাড়া হয়েছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের একই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আবার ১৫০ টির বেশি কয়লা বোঝাই গাড়ি থমকে গেছে ঝাড়খণ্ডের সীমানা। সেই গাড়িগুলি কখন ছাড়া হবে তা স্পষ্ট জানতে পারেননি চালকরা।


এদিকে ইতিমধ্যেই রানিগঞ্জের বেঙ্গল পেপার মিলের উৎপাদন থমকে গেছে। উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন ৩০০ শ্রমিক। কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে পর্যাপ্ত কয়লার অভাবে কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়েছে। অন্যদিকে একইভাবে জামুড়িয়া শিল্পতালুকে বিভিন্ন স্পঞ্জ আয়রন, ইস্পাত সহ বিভিন্ন কারখানায় কয়লার সঙ্কটে ভুগতে শুরু করেছে। কয়লা আসতে দেরী হলে সমস্যায় পড়বে এইসব কারখানা।

কাগজ পরীক্ষা করার কাজ দ্রুত করার দাবিতে মঙ্গলবার সকালে আসানসোল দূর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার এন সুধীর কুমার নীলকান্তমের সঙ্গে দেখা করেন জামুড়িয়ার কারখানার মালিকরা। পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করার পরে পবন মাউন্ডিয়া নামে এক কারখানা মালিক বলেন, আমাদের ১২ টি স্পঞ্জ আয়রন কারখানা আছে। কয়লা আসতে দেরী হলে উৎপাদনে সমস্যা হবে। তা আমরা কমিশনারকে বলেছি। পুলিশ কমিশনার বলেন, কাগজ পরীক্ষার কাজ দ্রুত করার চেষ্টা হচ্ছে। যারা কয়লা আনছেন, তাদেরকে কাগজ ঠিক করে আনার পরামর্শ দেন পুলিশ কমিশনার। এদিকে, বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমান্তে কয়লার গাড়ি আটকে রাখা নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে টুইট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি টুইটে কটাক্ষ করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *