চিত্তরঞ্জন সহ শিল্পাঞ্চল জুড়েই ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ল ১৯ টি বিদ্যুতের খুঁটি
পড়ল একাধিক গাছ, অন্ধকারে বিস্তীর্ণ এলাকা
বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল । টানা কয়েকদিন চিত্তরঞ্জন রেল শহরসহ আসানসোল শিল্পাঞ্চলে ভয়ঙ্কর দাবদাহ ছিল। তার সঙ্গে বাতাসে আর্দ্রতা বাড়ায় শিল্পাঞ্চল বাসীর কাছে ছিল অসহ্য এই গরম। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে শিল্পাঞ্চল জুড়ে প্রায় ঘণ্টা দেড়েকের বৃষ্টিতে একটু হলেও ঠান্ডা হয় এলাকা। কিন্তু বেশিরভাগ জায়গাতেই বিদ্যুতের বিপর্যয় হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটা থেকেই বিভিন্ন জায়গায় বজ্রপাত শুরু হয় ।কিন্তু সন্ধ্যে ছটা নাগাদ চিত্তরঞ্জন, রূপনারায়ণপুর আসানসোল শিল্পাঞ্চল জুড়ে ব্যাপক ঝড় এবং বৃষ্টি শুরু হয়। এই বৃষ্টিতে এদিন সন্ধে আটটা পর্যন্ত রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ এর ১৯ টি বিদ্যুতের খুটি ভেঙে পড়েছে। তাছাড়াও আসানসোলের জিটি রোডে সিএমপিডিআই, এলআইসির সামনে একাধিক বড় বড় গাছ ভেঙে পড়ায় ১১ হাজার কিলোভোল্টের বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যায়। গোটা শিল্পাঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকায় অন্ধকার নেমে আসে ।
আসানসোলের ডিভিশনাল ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার সুমন কুমার মাজি জানান সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সালানপুর ব্লকে। সেখানে দাসকেয়ারী ফিডার সহ বিভিন্ন জায়গায় ১৩ টি বিদ্যুতের খুটি ভেঙে পড়েছে। আসানসোলের বিভিন্ন জায়গায় ৬টি বিদ্যুতের খুটি ভেঙে পড়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় অনেক গাছ ভেঙে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে রাস্তায় পড়ে যায়। দ্রুত বিদ্যুৎ মেরামতের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তার জন্য বেশি সংখ্যায় কর্মীদের নামানো হয়েছে।
চিত্তরঞ্জন রেল শহরের বাসিন্দা নেপাল চক্রবর্তী জানান সন্ধ্যে ছয়টার পর থেকে ভয়ঙ্কর বজ্রপাত এবং বৃষ্টি শুরু হয় এবং সেই সময় থেকেই বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে গোটা শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা। তবে সন্ধে পৌনে আটটা নাগাদ বিদ্যুৎ ফিরে আসে। চিত্তরঞ্জন এর পঞ্চম পল্লীর বাসিন্দা ইন্দ্রজিৎ সিনহা বলেন ডি ভি সি ঠিকঠাক বিদ্যুৎ সরবরাহ না করায় মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাত্রি পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার ঘন্টা৫ এর পল্লী এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না।
জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর এর প্রধান এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তমোজিৎ চক্রবর্তী জানান বিভিন্ন জায়গাতেই গাছ এবং বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে যাওয়ার খবর এসেছে। আমরা বিদ্যুৎ দপ্তর কে গাছ সরানোর জন্য লোক পাঠানো হয়েছে।