DURGAPUR

দুর্গাপুর থানার অধীন ফরিদপুর ইনভেস্টিগেশন সেন্টারে রক্তদান শিবির

বেঙ্গল মিরর, দুর্গাপুর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন রক্ত সংকট কাটাতে সব থানাকে এগিয়ে আসতে হবে। সেইমতো পুলিশ ‘উৎসর্গ ” নামে রাজ্য জুড়ে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছে। উৎসর্গ – র আওতায় আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের বিভিন্ন থানা থেকে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হচ্ছে। সেই উদ্যোগে সামিল হতে রবিবার দুর্গাপুর থানার অধীন ফরিদপুর ইনভেস্টিগেশন সেন্টারের পক্ষ থেকে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়।


ওই রক্তদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুরের মেয়র অনিন্দিতা মুখার্জি, আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি (ইষ্ট) অভিষেক গুপ্তা, এসিপি দুর্গাপুর প্রবুদ্ধ ব্যানার্জি, সিআই কৃষ্ণেন্দু বিশ্বাস, দুর্গাপুরের ওসি সৌমেন্দ্র সিংহ ঠাকুর, ফরিদপুর আইসির ওসি মদন মোহন দত্ত, দুর্গাপুর মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের কাউন্সিলর মানস রায়, সুস্মিতা ভূঁই ছাড়াও সিনিয়র এমএমআইসি প্রভাত চ্যাটার্জী, এমএমআইসি স্পোর্টস মানি সোরেন, তৃণমূলের ২ নং ব্লক সভাপতি রাজু সিং, রক্তদান আন্দোলনের কয়েকটি সংগঠন , দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকরা, সহ সব পুলিশ আধিকারিক ও কর্মী সিভিক ভলেন্টিয়ার ও আসানসোল জেলা ব্লাড ব্যাঙ্কের কর্মীরা। ওই রক্তদান শিবিরে ফরিদপুর আইসি – র ওসি মদন মোহন দত্ত, এএসআই অক্ষয় দেওয়াসি, এএসআই সুকুমার মুখার্জি,এএসআই শ্রীকান্ত পাঁজা ছাড়াও অন্যান্য পুলিশ কর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়াররা রক্তদান করেন। এরই সঙ্গে স্থানীয় লোকজনেরা এই স্বেচ্ছায় রক্তদান অংশগ্রহণ করেন। এই রক্তদান শিবির থেকে প্রায় ৩০ ইউনিটের কাছাকাছি রক্ত সংগ্রহ করা হয়।

রক্তদান শিবিরে আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি (ইষ্ট) অভিষেক গুপ্তা বলেন, আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে এই গ্রীষ্মের মরসুমে রক্তের ঘাটতি ও সংকট মেটানোর জন্য রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হচ্ছে। এই কর্মসূচি আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের অধীনে থাকা সব থানাগুলি করেছে। ভবিষ্যতেও এই ধরনের কর্মসূচি করা হবে। ৩০ মে পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।দুর্গাপুরের মেয়র অনিন্দিতা মুখার্জী আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার সুধীর কুমার নীলকান্তমকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের এই উদ্যোগ খুবই ভালো। এর আগেও তারা এই কাজ করেছেন। এবারও তারা এগিয়ে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা মতো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *