ECL মুখ্য কার্যালয়ে ধর্নায় বসলেন দুই বিধায়ক
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জি: ECL মুখ্য কার্যালয়ে ধর্নায় বসলেন দুই বিধায়ক। ECL এর ছাঁটাই হওয়া বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের পাশে থেকে ধরনায় পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী এবং জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং ।ধর্ণায় বসতেই ইসিএলের U টার্ন,মেনে নিলেন শ্রমিকদের সকল দাবি । প্রায় তিন দশক ধরে খনি সংস্থা ইসিএলে কয়লা সহ অন্যান্য সম্পত্তি রক্ষার দায়িত্ব পালন করছে বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীরা । তারা বিভিন্ন সংস্থা ও এজেন্সি দ্বারা নিযুক্ত হন । ৮৯১ জন নিরাপত্তা রক্ষী রয়েছেন ইসিএলের বিভিন্ন এরিয়ায় ।
পর্যায় ক্রমে বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের বসিয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিজস্ব রক্ষী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থা । গত পয়লা এপ্রিল আচমকাই বিজ্ঞপ্তি জারি করে বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল । আন্দোলনের জেরে পরের দিনই তাদের ফের নিয়োগ করে সংস্থা । সেই সাথে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল এই নিয়োগ করা হচ্ছে আগামী ৪৫ দিনের জন্য । চলতি মাসের 14 তারিখ সেই সময়সীমা শেষ হয় । 15 তারিখ থেকে ফের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বসিয়ে দেওয়া হয় বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তারক্ষীদের । কাজ হারিয়ে বিপদে পড়ে নিরাপত্তারক্ষীরা । কাজে পুনর্নিয়োগের দাবিতে কাজ হারানো কর্মীরা সমবেতভাবে দেখা করেন এলাকার তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর সাথে । নরেন্দ্রনাথ বাবু নিরাপত্তারক্ষীদের সাথে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন।
সেই মোতাবেক ecl কর্তৃপক্ষের সাথে বারংবার বৈঠক হলেও কোনো সুরাহা মেলেনি । তাই নিরাপত্তারক্ষীদের ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে সিএমডি অফিসের সামনেই ধরনায় বসে যান ।ধর্ণায় বসতেই ইসিএল কর্তৃপক্ষের বরফ গলে ।তাঁরা দুই বিধায়কে ধরনা থেকে উঠে যাওয়ার আবেদন জানান।এবং ইসিএল কর্তৃপক্ষ কথা দেন তাঁদের কাজের পুনর্নিয়োগ হবে ।ফের পুনরায় CMD সাথে বৈঠকে বসেন।বৈঠকে শেষে বিধায়ক জানান ,বারংবার বলা সত্ত্বেও ইসিএল কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তারক্ষীদের বসিয়ে দিয়েছিল ।তাই বাধ্য হয়ে আজ যেই ধর্না বসতে হয়েছে । ইসিএল কর্তৃপক্ষ কথা দিয়েছেন আগামীকাল থেকেই আবার কাজের পুনর্নিয়োগ হবে। কর্তৃপক্ষ শিল্পাঞ্চলের মানুষকে শুধু ধোঁয়া আর ধুলো দিয়েছেন ।তাই ইসিএল কর্তৃপক্ষ যদি ভবিষ্যতেও এই ধরনের কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।