ঋণ শোধ করতে না পেরে আত্মহত্যা লটারি ব্যবসায়ীর
বেঙ্গল মিরর, কাজল মিত্র :-আত্ম হত্যা করাটা যেন মনে হচ্ছে এখন মুড়ি মুরকির মতন ব্যাপার যেকোন ছোট খাট সমস্যা বলুন কিংবা সামান্য কিছু মানসিক চিন্তা সবেতেই বেছে নিচ্ছে আত্ম হত্যার পথ যার ফলে অনেকের সংসার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ।
এমনই সুন্দর এক সংসার নষ্ট হয়ে গেল চিত্তরঞ্জন শহরের বুক থেকে ।
জানাজায় চিত্তরঞ্জন থানার ৩৭ নম্বর রাস্তার রেল আবাসনের পাশে মাটির বাড়ি বানিয়ে বসবাস করতেন অর্জুন মিশ্র।যার ঝুলন্ত দেহ শনিবার সকালে একটি গাছে থেকে পাওয়া যায়।
মাছ বাজারের ঠিক উল্টোদিকে রাস্তার পাশে একটি জঙ্গলের মধ্যে বাবলা গাছের মধ্যে নাইলনের দড়ি গলায় দিয়ে সে আত্মহত্যা করে ।
জানাজায় যে চিত্তরঞ্জন এ
প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে কিছু লোকজন এই ঘটনা দেখতে পান ।তারপরেই ঘটনাস্থলে ভীড় জমতে থাকে । খবর দেওয়া হয় চিত্তরঞ্জন থানা আরপিএফ কে ।খবর পেয়ে চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ ও আরপিএফ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহটি উদ্ধার করে চিত্তরঞ্জন পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।পুলিশ সূত্রে জানাজায় ওই মৃত ব্যক্তির পরনে ছিল সাদা গেঞ্জি।চিত্তরঞ্জন আমলাদহি বাজারের সামনে ফুটপাতের ওপর ছোট দোকান বানিয়ে চায়ের দোকানের সাথে সাথে লটারির ব্যাবসা করতেন । ২৬ বছর বয়সী অর্জুন এর মৃত্যুর ঘটনার পরিবারের লোকজন শোকাহত । অর্জুন তার মা শীলাদেবী এবং মামা শেখর মিশ্রকে নিয়ে চিত্তরঞ্জনে বসবাস করতেন।
পরিবার সূত্রে জানাজায়
আমলাদহী বাজারের ফুটপাতে একটি ছোট্ট দোকান করতেন প্রতিদিন রাত্রে বেলা বাড়ি ফিরলেও শুক্রবার দোকান বন্ধ করে শেখর আর বাড়ি ফেরেনি।
শেখর প্রতিদিনই লটারি ব্যাবসার জন্যে রূপনারায়ণপুরের একটি এজেন্সির কাছ থেকে
লটারির টিকিট নিয়ে আসতেন ।তার মামা শেখর বাবু বলেন ওই এজেন্সির কাছে বেশ কিছু টাকা ধার ছিল। এজেন্সির মালিক প্রায়ই টাকা শোধ করার জন্য শেখরকে চাপ দিতেন।এমনকি শেখরের আধার কার্ড ওই এজেন্সির মালিক নিয়ে রেখেছিল ।৩ জুন শুক্রবার সন্ধ্যাবেলায় আবার টাকা চেয়ে শেখরকে চাপ দেওয়া হয় ।কিন্তু অভাবের সংসা কোনভাবেই টাকা শোধ করতেনা পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন ।