ASANSOLKULTI-BARAKAR

কুলটির ঘটনা, ইস্কোর বালি বাঙ্কারে হামলা, নিরাপত্তারক্ষীকে মারধর করে বন্দুক ছিনতাইয়ের অভিযোগ

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের কুলটি থানার বরাকর রামনগরে সেইল আইএসপি বা ইস্কো কোলিয়ারির বালির বাঙ্কারে হামলা চালিয়ে নিরাপত্তারক্ষীকে মারধর করে দুষ্কৃতিরা। শনিবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার জেরে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ পাওয়ার পরে কুলটি থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। হামলায় গুরুতর আহত হয় প্রাইভেট সংস্থার সিকিউরিটি গার্ড বা নিরাপত্তা রক্ষী পিন্টু বাউরি। তাকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। পরে তাকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুষ্কৃতিরা হামলার সময় ঐ নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে থাকস বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ঐ বালি বাঙ্কারের নিরাপত্তা রক্ষীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। রবিবার সকালে আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি ( পশ্চিম) অভিষেক মোদির নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম বিষয়টি তদন্ত করতে এলাকায় পৌঁছায়।


আরো জানা গেছে, পাশেই রয়েছে আসানসোল পুরনিগমের বরাকর পাম্প হাউস। বালি বাঙ্কারে যখন হামলার ঘটনা ঘটছে, তখন চিৎকার শুনে পাম্প হাউসের নিরাপত্তা রক্ষীরা গেট খুলে বেরিয়ে আসেন। তখন দূষ্কৃতিরা তাদেরকে তাড়া করেন। ভয়ে নিরাপত্তা রক্ষীরা পাম্প হাউসের ঢুলে, দূষ্কৃতিরা গেট বন্ধ করে দেয়।
জানা গেছে, অন্য দিনের মতো শনিবার রাতে ৪ জন নিরাপত্তা রক্ষীর আসানসোলের কুলটি থানার বরাকরের রামনগরে ইস্কো কোলিয়ারির বালি ঘাটে পাহারা দিচ্ছেলেন। রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ ২০/২৫ জনের দূষ্কৃতিদের একটি দল সেখানে ঢুকে পড়ে। নিরাপত্তা রক্ষীরা তাদেরকে দেখতে পেয়ে আটকানোর চেষ্টা করেন। বাধা পেয়ে দূষ্কৃতিরা তাদের উপর হামলা চালায়। প্রথমে দূষ্কৃতিদের সঙ্গে নিরাপত্তা রক্ষীদের ধস্তাধস্তি হয়। সংখ্যা দূষ্কৃতিরা অনেক বেশি থাকায় নিরাপত্তা রক্ষীরা পেরে উঠতে পারেনি। দূষ্কৃতিরা তাদের ব্যাপক মারধর করে। এরপর দূষ্কৃতিরা পিন্টু বাউরি নামে এক নিরাপত্তা রক্ষীর বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।

রবিবার সকালে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি (পশ্চিম) অভিষেক মোদী ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না বলে জানান তিনি।
কে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়েছে , ঠিক কি হয়েছে, কেন ঘটল এই ঘটনা ও দুষ্কৃতিরা কোথা থেকে এল, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত পুলিশ কিছু বলতে চাইছে না। তবে, এলাকার বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, দূষ্কৃতিরা ঝাড়খন্ড থেকে এসেছিলো। তারা মাঝে মধ্যেই বালি ও অন্যান্য জিনিস চুরি করতে এখানে। শনিবার রাতে একই কারণে তারা এসেছিলো। কিন্তু বালি বাঙ্কারের নিরাপত্তা রক্ষীরা রুখে দাঁড়ানোয় তারা হামলা চালিয়ে, বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।

read also : Asansol में सिंगल यूज प्लास्टिक पर एक जुलाई से प्रतिबंध

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *