তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নেতার বিরুদ্ধে ঠিকাদারের কাছ থেকে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ
অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেন বিধায়ক
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জি, রানীগঞ্জ : তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন কে,কে,এস,সির এক নেতার বিরুদ্ধে উঠলো কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ। অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেন বিধায়ক। সম্প্রতি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া সফরে এসে প্রশাসন ও দলের নেতাদের স্বচ্ছতার সাথে কাজ করার নিদান দেন। অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। কিন্তু সুপ্রিমোর কথা নিচুতলার একশ্রেণীর কর্মীরা মানছে না বলে অভিযোগ। পাণ্ডবেশ্বরে শ্রমিক সংগঠনের এক নেতার বিরুদ্ধে ঠিকাদারের কাছ থেকে কাটমানি চাওয়ার ঘটনায় তা আরও একবার প্রমাণিত হলো।




ঘটনা সুত্রে জানা গেছে খোট্টাডিহি খোলামুখ খনিতে মাটি কাটার যন্ত্র সরবরাহের বরাত পান রানীগঞ্জের বাসিন্দা ঠিকাদার সন্তোষ সরকার। তিন দিন আগে ট্রলারে করে তিনি পাঁচটি যন্ত্র খোট্টারডিহি ওসিপি-তে পাঠান। এলাকার শ্রমিক নেতা উত্তম মন্ডল মেশিন গুলি খনিতে নামাতে বাধা দেন বলে অভিযোগ। উত্তমবাবু তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন কে কে এস সির নেতা বলে এলাকায় পরিচিত। ঠিকাদার সন্তোষবাবু জানান তিনদিন ধরে যন্ত্রগুলি নামাতে দেওয়া হচ্ছে না। আজ তিনি ওসিপিতে এলে উত্তমবাবু সংগঠনের অফিসে তাকে ডেকে পাঠান। যন্ত্র নামানোর জন্য উত্তমবাবু এক লক্ষ টাকা দাবি করেন। এরপরই সন্তোষবাবু যোগাযোগ করেন এলাকার তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর সাথে।
তিনি জানান নরেনবাবু-র হস্তক্ষেপে সমস্যা মিটেছে। বিষয়টি নিয়ে নরেন বাবুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন অভিযোগ পেয়েছি। সংগঠনের উচ্চতর নেতৃত্বকে কাটমানি চাওয়ার বিষয়টি জানানো হয়েছে। তদন্তে সত্য প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত উত্তমবাবুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই উত্তমবাবুর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। মোবাইলে ফোন করলে তার মোবাইল সুইচড অফ পাওয়া যায়নি।
আইএনটিটিইউসি জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটক বলেন যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে, তারা তৃণমূল সংগঠনের কেউ নন। আমরা পুলিশ প্রশাসন কে বলেছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। এই ধরনের কাজ যারা করে তাদেরকে দল কখনো সমর্থন করেনা এটা ওদের নিজেদের ব্যাপার। আমরা পুলিশকে বলেছি এটাকে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে।