ASANSOL

উচ্চ মাধ্যমিকে ছাত্র-ছাত্রীদের অসম্পূর্ন ফলাফল নিয়ে তথ্য পাঠানো হল : রাজিব মুখোপাধ্যায়

বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল। একদিকে যখন রেকর্ড পরিমাণ ছাত্র-ছাত্রী উচ্চ মাধ্যমিকে পাস এবং ভালো নম্বর পাওয়ার খবর প্রকাশিত হচ্ছে ,তখন অন্যদিকে আসানসোল মহকুমার একাধিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অসম্পূর্ন বা ফেলের হার রেকর্ড হওয়ার রীতিমতো উদ্বেগে পড়েছেন ছাত্র-ছাত্রী থেকে সেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে ছাত্র-ছাত্রী মহলে।
এই বিষয়টি নিয়ে রবিবারই জেলা উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের প্রতিনিধি আসানসোলের শিক্ষক রাজিব মুখোপাধ্যায় উচ্চ শিক্ষা সংসদের কাউন্সিলে যোগাযোগ করেন। কাউন্সিল থেকে তাকে বলা হয় যেসব স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের অসম্পূর্ণ ফল আছে বলে তারা জানতে পেরেছেন সেইসব স্কুলে এদিনই ওদের এই সম্পর্কিত তথ্য পাঠানো হল।



যেহেতু এবার অনলাইনে ছাত্রছাত্রীরা তাদের ফলাফল জানতে পারলেও বিদ্যালয়গুলিতে আগামী ২০ শে জুন মার্কশিট আসার কথা সেই কারণে কোনও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শনিবার তারা নিজেরা কোন ছাত্র-ছাত্রীর ফলাফল স্কুল ভিত্তিক দেখতে পারেননি।
জানা গেছে রানীগঞ্জের সিয়ারসোল গার্লস হাইস্কুলের ১০৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৮৮ জনের ফল অসম্পূর্ণ। অর্থাৎ এর এর বেশিরভাগই হয় ফেল করেছেন না হলে কম্পার্টমেন্টাল পেয়েছেন। আর এই নিয়েই এখানকার ছাত্রীদের মধ্যে যথেষ্ট উদ্বেগ দেখা যায়। অতীতে এখানে কখনও এমন খারাপ ফল হয়নি বলে তারা দাবি করেন ।

এই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা বলেন যেহেতু তারা কোনো ছাত্রীর স্কুল ভিত্তিক ফল পাননি তাই তাদের হাতে কিছু না থাকায় বিষয়টি নিয়ে তারা বলতে পারবেন না ।তবে এটা নিয়ে তারা ইতিমধ্যেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। মার্কশিট আসা পর্যন্ত তারা অপেক্ষা করছেন। যদিও অন্য সূত্র থেকে জানা গেছে রবিবার দুপুরে ওই বিদ্যালয়ে কাউন্সিল অসম্পূর্ণ মার্কসিটের তথ্যসমৃদ্ধ তালিকা পাঠিয়ে দিয়েছে । অন্যদিকে ডিসেরগড় এ সি ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক রাজিব লায়েক বলেন আমাদের বিদ্যালয় থেকে ১২৬ জন পরীক্ষা দিয়েছিল তার মধ্যে ৪৫ জনের ফলাফল অসম্পূর্ণ বলা আছে ।রবিবার কাউন্সিল থেকে অসম্পূর্ণ তালিকার যে তথ্য পেয়েছি তাতে দেখা যাচ্ছে দুজন পরীক্ষা দেয়নি ।বাকিরা হয় ফেল করেছে বা কম্পার্টমেন্টাল পেয়েছে। পরপর রোল নাম্বার ধরে টানা কয়েক জন ছাত্র-ছাত্রী অকৃতকার্য হওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছিনা। সাম্প্রতিককালে আমাদের স্কুলে এত খারাপ ফলাফল হয়নি। এখন মার্কশিট এলে তারপর ছাত্র-ছাত্রীরা রিভিউ করতে চাইলে নিশ্চয়ই সে ব্যবস্থা করা হবে।


একই ছবি উঠে এসেছে আসানসোলের হাজী কদম হাই স্কুলে। এখানে ৪৫৮ জন পরীক্ষা দিয়েছে। তাদের মধ্যে ২৭০ জন এর ফলাফল অসম্পূর্ণ বলে বলা হয়েছে। এই স্কুলের কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারাও বলেন এত খারাপ ফল কখনও তাদের হয়নি।উচ্চশিক্ষা সংসদের পশ্চিম বর্ধমানের জেলা প্রতিনিধি আসানসোলের শিক্ষক রাজিব মুখোপাধ্যায় বলেন আমি বিষয়টি নিয়ে কাউন্সিলে কথা বলার পর আজ রবিবারই কাউন্সিল থেকে যাদের যাদের স্কুলে অসম্পূর্ণ ফলাফল আছে বলে ছাত্রছাত্রীরা জেনেছিল তাদের তথ্য মেইল করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ।আমাকে ডিসেরগড় এ সি ইনস্টিটিউশন ও হাজি কদম রসূল হাই স্কুলের থেকে বলা হয়েছিল সেখানে এত খারাপ ফলাফল হওয়ার কথা নয়। ছাত্র-ছাত্রীরা চাইলে অবশ্যই নিয়ম অনুযায়ী রিভিউ এর ব্যবস্থা করা হবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *