ASANSOLRANIGANJ-JAMURIA

মাসে ডবল বেতন : কিস্তিতে ফেরত দেবেন অতিরিক্ত বেতন, শোকজ, তদন্তের নির্দেশ মেয়রের

বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল ।আসানসোল পুরসভার একজন মহিলা ওয়ার্ক অ্যাসিস্ট্যান্ট গত ২১মাস ধরে রানীগঞ্জ বোরো অফিস এবং পুরসভার আসানসোল সদর দপ্তর একসাথে দুই জায়গা থেকে বেতন পাচ্ছিলেন। তিনি চুক্তিভিত্তিতে ২০২০ সালে আসানসোল পুরসভার সদরদপ্তরে যোগদান করেন। কয়েকদিন পর তাকে রানীগঞ্জ বোরোতে চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে ট্রান্সফার করা হয়। ফলে বোরোদপ্তর থেকে যেমন তার বেতন উঠানোর জন্য ওয়ার্কিং স্টেটমেন্ট আসছিল,তেমনি পুরসভার সদর দপ্তরের বেতনের তালিকায় তার নাম ছিল। প্রতি মাসেই তিনি একসাথে দুবার করে দশ হাজার করে বেতন পেতেন। কিভাবে দুই জায়গা থেকে ওয়ার্কিং স্টেটমেন্ট আসছিল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

বিষয়টি নিয়ে পুরসভার মেয়র চেয়ারম্যান এবং দুই প্রস্তাবিত ডেপুটি মেয়র, ফাইন্যান্স অফিসারদের সঙ্গে সোমবার আলোচনা হয়। পরে মেয়র বিধান উপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন আমি জানতে পারার সাথে সাথে এই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছি। অন্যদিকে চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন শ্রীজিতা মিত্র নামে ওই মহিলা কর্মীকে আজই ডেকে পাঠানো হয় এবং তাকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে ।যদিও তিনি চার কিস্তিতে মাসে দশ হাজার করে নেওয়া তার ২১ মাসের অতিরিক্ত বেতন ২,১০ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন । যদিও এই বিষয়ে শ্রীজিতা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি এই সময়কে বলেন অতিরিক্ত বেতন নেওয়ার কথা তার জানা ছিল না। আজই তাকে পুরসভায় ডেকে পাঠানো হয় এবং তিনি মেয়র ও চেয়ারম্যানকে যা বলার বলেছেন। এ বিষয়ে মিডিয়াকে তিনি কিছু বলবেন না।


উল্লেখ্য দিন কয়েক আগে পুরসভার প্রাক্তন বরো চেয়ারম্যান এবং বর্তমানে ২৮ নং ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর গুলাম সারবর পুরসভায় একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে চিঠি দেন মেয়র এবং কমিশনারকে। এর আগে কুলটির আওতাধীন নিয়ামতপুর বোরো দপ্তরের ক্যাশ দপ্তরের এক কর্মচারী পুরসভার টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার জায়গায় নিজেই দিনের পর দিন তা নিয়ে নেন । পরে একদিন ব্যাংক কর্মকর্তার মাধ্যমে তা প্রকাশ হয়। তখনকার সময়ে পরিমাণটি ৬০/৭০লক্ষ টাকা ছিল ।সাধারণ একটি অভিযোগ দায়ের করা ছাড়া পুরসভা পুরো বিষয়টিকে ধামাচাপা দেয় ।

একইভাবে, জামুড়িয়া বোরো অফিসে দুই কর্মী পুরোনো , রসিদ এবং স্ট্যাম্প ব্যবহার করে করের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এদের ক্ষেত্র কেবল ট্রান্সফার করা ছাড়া কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। চেয়ারম্যান অমর চট্টোপাধ্যায় বলেন কোনটির ক্ষেত্রে পুনরায় এফআইআর করে ওই কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সোমবার।
পুরসভার এসব অনৈতিক কাজ দেখার জন্য একাধিক উচ্চপর্যায়ের আধিকারিকরা থাকলেও তারা যে এসব বিষয়ে প্রায় নিরব ,সাম্প্রতিক এইসব ঘটনাতে প্রমাণিত হল বলে বিরোধীদলের কাউন্সিলার অভিযোগ করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *