ASANSOL

আসানসোলের মেয়রের ছবি বিকৃত করে সোশ্যাল মিডিয়ার অমার্জিত ভাষা ও কটুক্তি, ধাদকা থেকে গ্রেপ্তার

বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল। বারাবনির বিধায়ক ও আসানসোল পুরসভার মেয়র বিধান উপাধ্যায় এর ছবি বিকৃত করে সোশ্যাল মিডিয়ার একটি গ্রুপে অমার্জিত ভাষা ও কটুক্তি ব্যবহার করার কারণে এক বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার কর্মী কে বারাবনি থানার পুলিশ মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করে বুধবার আসানসোলের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠায়। বারাবনি থানার পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং তার ফোনটি উদ্ধার করার জন্য সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে চায়। আদালত তাকে পাঁচদিনের হেফাজতের নির্দেশ দেয় ।একইসঙ্গে পাঁচ দিন পরে তাকে যখন পেশ করা হবে তখন তার সঙ্গে সম্পূর্ণ কেস ডায়েরি পুলিশকে আদালতে পেশ করতে বলা হয়েছে।

File photo


জানা গেছে বারাবনি থানার সরিষাতলী তে একটি বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার ক্যাম্প আছে।সেখানকার সুপারভাইজার ইসমাইল শেখ একুশে জুন বারাবনি থানার ওসির কাছে অভিযোগ করে লেখেন তাদের এই নিরাপত্তা সংস্থার চঞ্চল গড়াই নামে এক কর্মী আছেন।তার বাড়ি উত্তর আসানসোলের ধাদকাতে। এই কর্মীদের ৫৩ জনের একটি সোশ্যাল মিডিয়ার গ্রুপ আছে। সেখানে তিনি বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় এর নামে অত্যন্ত বাজে বিকৃত ছবি করেছেন এবং তাকে নিয়ে কটুক্তি করেছেন। এর ফলে ওই এলাকায় মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে এবং শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে।

এই অভিযোগ পেয়ে বারাবনি থানার পুলিশ তদন্তে নামে এবং ওই বিকৃত ছবির স্ক্রীনশট সহ একজনের একটি ফোন তারা সংগ্রহ করে। তারপর ওখানকার নিরাপত্তা কর্মীদেরযে ক্যাম্প আছে সেই ক্যাম্প থেকেই চঞ্চল গড়াই কে তারা দীর্ঘসময় জিজ্ঞাসাবাদ করার পর মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেপ্তার করে। বুধবার তাকে আসানসোলের মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে তোলা হয়। পুলিশ থেকে সব তথ্য আদালতে দিয়ে দাবি করা হয় যে ফোন থেকে চঞ্চল এটা করেছিল সেই ফোন কোথায় রাখা আছে সে ছাড়া কেউ জানে না। তাই তাকে তাদের হেফাজতে নিয়ে ফোনটি উদ্ধার করতে হবে এবং এ বিষয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে।

সরকারি আইনজীবী মনোজ কুমার সিনহা বলেন অত্যন্ত গণ্যমান্য একজন জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধিকে এইভাবে কটুক্তি করার জন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন এবং তার ফোন সংগ্রহ করা দরকার। অন্যদিকে তার আইনজীবী স্বর্ণেন্দু হালদার আদালতে দাঁড়িয়ে বলেন যে সময় ও ডিউটিতে ছিল সেই সময়ই তার কাছে ফোনটা ছিল না। এই কাজ সে করে নি। যদিও আদালত পুলিশের আবেদনের ভিত্তিতে পাঁচ দিনের জন্য তাদের হেফাজতে পাঠায় এবং তাকে যেদিন হাজির করা হবে সেদিন যেন কেস ডাইরি পুলিশ জমা দেয় সেই নির্দেশ দেন বিচারক।
এই খবর ধীরে ধীরে বারাবনি এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই রীতিমতো ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে বলে জানান বারাবনির তৃণমূলের ব্লক সভাপতি এবং জেলা পরিষদের সদস্য অসিত সিং। তিনি বলেন আইন আইনের পথে চলবে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *