ASANSOL

এবার বালি চালানে রাজ্য ভূমি রাজস্ব বিভাগের ভূয়ো পোর্টালের খোঁজ, বীরভূমের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার সহ ৫ পুলিশের জালে

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, দেব ভট্টাচার্য, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ মদ বা ফরেন লিকার সপের লাইসেন্স দেওয়ার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের আবগারি দপ্তরের ভুয়ো পোর্টাল তৈরী করে টাকা হাতানোর চক্রের হদিশ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে এক মহিলাকে। তার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার বালি চালানে রাজ্য সরকারের ভূমি রাজস্ব দপ্তরের ওয়েষ্ট বেঙ্গল মাইনস্ মিনারেলস্ ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের ভুয়ো পোর্টাল তৈরীর চক্রের হদিশ পাওয়া গেলো। পশ্চিম বর্ধমান সহ আশপাশের একাধিক জেলা এই চক্র সক্রিয় রয়েছে বলে মনে করছেন পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। যা, নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন, ভূমি রাজস্ব দপ্তর ও আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকদের কপালে।

এই চক্রের সদস্য হিসেবে ইতিমধ্যেই আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের দুটি থানা চারজনকে ধরে। পরবর্তী কালে এই ঘটনার তদন্ত ভার যায় কমিশনারেটের ডিডি বা গোয়েন্দা দপ্তরের হাতে। সেই ডিডি ভুয়ো পোর্টালের তদন্তে নেমে গ্রেফতার করে একজনকে। সেই ধৃত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার বীরভূমের বাসিন্দা । পুলিশের গোয়েন্দা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এই ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার এই ভুয়ো পোর্টালটি তৈরী করেছিলো। বাকি চারজনের মধ্যে তিনজনজে আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের দূর্গাপুরের এনটিএস ও কাঁকসা থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


দিন কয়েক আগে পশ্চিম বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসকের ( এলআর) দপ্তরের আধিকারিকরা এই বালি নিয়ে যাওয়ার জন্য ভুয়ো পোর্টাল তৈরী করে চালান দেওয়া হচ্ছে। এরপরই রাজ্য ভূমি রাজস্ব দপ্তর নড়েচড়ে বসে। গোটা বিষয়টি জানানো হয় আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকদের। শুরু হয় খোঁজ। তারপর জানা যায় যে, খবর একদম ঠিক। এরপর একে একে ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।


পুলিশ কমিশনারেটের এডিসিপি ( ডিডি) সৌমিক সেনগুপ্ত বলেন, চক্রের খোঁজ মিলেছে। কয়েকজনকে গ্রেফতার করে তদন্ত চলছে। এরপর পেছনে আর কারা আছে, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গতঃ, বর্তমান রাজ্য সরকার বালি নিয়ে দূর্নীতি ও চোরাকারবার রুখতে ভূমি রাজস্ব দপ্তরের অধীনে তৈরি করে ওয়েষ্ট বেঙ্গল মাইনস্ মিনারেলস্ ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন। সেই কর্পোরেশনের পোর্টালের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের চালান কাটতে হয়। আর সেই পোর্টালের ভুয়ো পোর্টাল তৈরী করলো একদল অসাধু লোক।
কতদূর এই চক্র সক্রিয় রয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *