সালানপুর ব্লকে সাড়ম্বরের সাথে পালিত হল হুল দিবস
বেঙ্গল মিরর, কাজল মিত্র :-আজ ঐতিহাসিক ৩০ শে জুন মহান সাঁওতাল হুল দিবস। আর এই দিনটি স্বারম্বরে পালিত হল সালানপুর ব্লকের জিৎপুর পঞ্চায়েতের ঘিয়াডোবা ও নামকেশিয়া আদিবাসী গ্রামে।আজকের দিনটি স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিবস, যা ঐতিহাসিক সাঁওতাল হুল দিবস বা সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস নামে পরিচিত। এদিনের এই হল দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বারাবনির বিধায়ক তথা আসানসোল মেয়র বিধান উপাধ্যায় ঘিয়াডোবা আদিবাসী পাড়ায় একটি সিধু কানুর মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন একই সাথে নামোকেশিয়া আদিবাসী পাড়াতেও সিধুকানুর মূর্তির প্রতিষ্ঠা করা হয় ।




এদিন মেয়র বিধান উপাধ্যায় ফিতা কেটে মূর্তি উন্মোচন করেন এছাড়াও সাঁওতাল বিদ্রোহের শহিদ সিদো, কানহু, চাঁদ, ভৈরবের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানানো হয়।এদিনের এই অনুষ্ঠানে মেয়র বিধান উপাধ্যায় ছাড়াও সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ফাল্গুনী ঘাসি, সহসভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র, জেলাপরিষদ এর করমাধ্যক্ষ মহম্মদ আরমান ,সালানপুর ব্লক তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ভোলা সিং ,রূপনারায়নপুর ফাঁড়ি ইনচার্জ মনজিৎ ধারা, জিৎপুর পঞ্চায়েতের প্রধান তাপস চৌধুরী ,উপপ্রধান বন্দনা মন্ডল ,মহিলা তৃণমূল নেত্রী অপর্ণা রায় ,রাসমণি বেশরা,শকুন্তলা মারান্ডি,আদিবাসী সম্প্রদায়ের মোড়ল লখিন্দর মুর্মু, ও নামকেশিয়া থেকে বিপ্লব মারান্ডি সহ বহু আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ জনেরা।
এদিন বিধায়ক তথা মেয়র বিধান উপাধ্যায় জানান যে সারারাজ্য জুড়ে আজকের দিনটিতে হুল দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে কারন আজকের দিনটি স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিবস, যা ঐতিহাসিক সাঁওতাল হুল দিবস বা সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস নামে পরিচিত। তিনি বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে সকল ধর্মের মানুষের সাথে একসাথে থাকতে চাই কারন পশ্চিমবঙ্গ এমন একটা রাজ্য যা ভ্রাতৃত্বের বন্ধন কিভাবে হয় সেটা শেখায় ।অন্যান্য দের মতো হিংসা ও জাতি বিভেদের রাজনীতি করেন না ।তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আদিবাসী ভাই বোনদের জন্যে নানান প্রকল্প এনেছেন যার সুবিধা রাজ্যের আদিবাসী ভাই বোনেরা পাচ্ছে। একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কাছে থেকেই অন্যান্য রাজ্য গুলি শিক্ষা গ্রহন করে ।জিৎপুর পঞ্চায়েতের প্রধান তাপস চৌধুরী জানান যে এই অঞ্চলের আদিবাসী দের বহুদিনের চাহিদা ছিল তাদের আদিবাসী নেতা সিধু কানুর মূর্তি প্রতিস্থাপন করা ।সেই কথামত বারাবনির বিধায়ক তথা আসানসোল মেয়রের প্রচেষ্টায় ঘিয়াডোবা ও নামকেশিয়া যে সিধুকানুর মূর্তি স্থাপন করা হয় ।