ASANSOL

Swashthya Sathi : পরিসেবা ভালো করে দিতে নার্সিংহোম ও হাসপাতালকে কড়া বার্তা

রোগী ফেরানো নিয়ে চিন্তায় জেলা প্রশাসন, পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসকের উপস্থিতিতে বৈঠক

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ ( Asansol News Live Today ) পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ” স্বাস্থ্যসাথী ” প্রকল্প নিয়ে বুধবার সকালে আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনে জেলা প্রশাসন স্তরে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ, অতিরিক্ত জেলাশাসক অভিজিৎ শেভালে, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচ ডাঃ মহঃ ইউনুস খান, আসানসোল পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হক, আসানসোল দূর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা আড্ডার চেয়ারম্যান বিধায়ক তাপস বন্দোপাধ্যায়, পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী সহ জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা। বৈঠকে ডাকা হয়েছিলো বেসরকারী হাসপাতাল ও নার্সিংহোম কতৃপক্ষদের।


বিভিন্ন সময়ে সাধারণ মানুষের থেকে অভিযোগ উঠে যে, স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড থাকলেও জেলার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলি রোগী ভর্তি নিতে চায়না। নানা কারণ দেখিয়ে রোগীদের “রিফিয়ুজ ” বা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। চরম হয়রানির শিকার হতে হয় রোগীর পরিবারের সদস্যদের।
এই প্রসঙ্গটি এদিনের বৈঠকে উঠে আসে। জেলাশাসক বৈঠকে কড়া বার্তা দিয়ে বলেন, রোগী রিফিউজাল খুব বেশি হচ্ছে। এটা কোনমতেই মানা যাবে না। স্বাস্থ্য সাথী নিয়ে রাজ্য সরকার যে নতুন গাইড লাইন দিয়েছে, তা সব হাসপাতালকে টাঙিয়ে রাখতে হবে। এমন জায়গায় তা লাগাতে হবে, তা যেন হাসপাতালে আসা মানুষেরা সহজেই দেখতে পান। জেলাশাসক বৈঠকেই সিএমওএইচকে বলেন, যেসব হাসপাতাল ও নার্সিংহোম থেকে রোগী প্রত্যাখান ফেরানো ঘটনা ঘটছে, সেখানকার জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সেখানে যাবেন। সবকিছু নিয়ে একটা রিপোর্ট তৈরী করে পাঠাবেন। তা রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরে পাঠানো হবে। এছাড়াও জেলা স্তরে নজরদারির যে কমিটি তারা প্রতি মাসে বৈঠকে বসে, পর্যালোচনা করবে। সার্ভিলেন্স আরো বাড়ানো হবে।


বৈঠকে অতিরিক্ত জেলাশাসক বলেন, স্বাস্থ্য সাথীর পরিসেবা না ঠিক মতো পাওয়া না গেলে, তার অভিযোগ আকারে জানানোর জন্য চারটি ওয়াটস্ এ্যাপ নম্বর ও একটি কল সেন্টারের নম্বর আছে। যে কেউ তার সমস্যা সেখানে জানাতে পারেন। সঙ্গে সঙ্গে তা দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিনের বৈঠকে দুই বিধায়ক তাপস বন্দোপাধ্যায় ও নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীও স্বাস্থ্য সাথী নিয়ে তাদের কাছে আসা অভিযোগ তুলে ধরেন। তারা বলেন, কেন হবে? সবার পক্ষে তো আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সবসময় সম্ভব নয়। প্রায়ই আমাদের বলা হয় যে, হাসপাতাল রোগী ভর্তি করছে না। তখন আমাদের ফোন করতে হয়। এটা জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তর দেখুক।
বৈঠকে হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের তরফে এই প্রকল্পে বিল ঠিক মতো না পাওয়ার কথা বলা হয়। জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা বলেন, রাজ্য সরকার তা গুরুত্ব সহকারে দেখছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *