Breaking : আসানসোল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে ৪১ জনের নামে প্রথম চার্জশিট জমা
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ ২০ মাসের মাথায় বহু চর্চিত কয়লা পাচার মামলায় আসানসোল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে। মঙ্গলবার দুপুরের পরে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তকারী অফিসাররা আসানসোল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে এই চার্জশিট জমা দেন। মোট ৪১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা করেছে সিবিআই ।তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন পুরুলিয়ার বাসিন্দা কয়লা কারবারি অনুপ মাজি ওরফে লালা। অন্যজন কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে থাকা বিকাশ মিশ্র। এই চার্জশিটে ২ জনকে পলাতক রয়েছে। তারা হলো বিনয় মিশ্র ও রত্নেশ ওরফে রত্নেশ্বর ভার্মা।
জামিনে থাকা লালার ঘনিষ্ঠ ৪ জন কয়লা কারবারির নামও এই চার্জশিটে রয়েছে বলে জানা গেছে। তারা হলো জয়দেব মন্ডল, নারায়ণ খারকা ওরফে নারায়ন নন্দা ,নীরদ মন্ডল ও গুরুপদ মাঝি । এছাড়াও সদ্য গ্রেফতার হওয়া ইসিএলের ৮ কর্তার নাম এদিনে সিবিআইয়ের দেওয়া প্রাথমিক বা প্রিলিমিনারী চার্জশিটে রয়েছে। তারা সুশান্ত বন্দোপাধ্যায়, অভিজিৎ মল্লিক, তন্ময় দাস, সুভাষ চন্দ্র মৈত্র, মুকেশ কুমার, দেবাশীষ মুখোপাধ্যায়, রিঙ্কু বেহেরা ও সুভাষ মুখোপাধ্যায়। এরমধ্যে সুভাষ মুখোপাধ্যায় তিনদিন ও বাকিরা ৫ দিনের হেফাজতে ছিলেন। সোমবারই তারা আসানসোলে জেলে গেছেন ১৪ দিনের জন্য।
এই চার্জশিটে নাম রয়েছে ১০ জন বেসরকারি সংস্থা বা কোম্পানি এবং তাদের ডিরেক্টরদের । এছাড়াও ১৫ জন বেআইনি কয়লা কারবারে যুক্ত বা ইললিগ্যাল কোল মাইনারের নাম ।
প্রসঙ্গতঃ, ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর সিবিআই কয়লা কান্ডে এফআইআর করেছিলো। কেস নম্বর আরসি ২২/ ২০।
সিবিআই সূত্রে জানা গেছে, এই চার্জশিট একবারে প্রাথমিক। আগামী দিনে যত তদন্ত এগোবে, তেমন চার্জশিট দেওয়া হবে।
স্বাভাবিক ভাবেই এই চার্জশিটে কয়লা শিল্পাঞ্চল জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।