ইসিএলের নিখোঁজ কর্মীর মৃতদেহ কুয়ো থেকে উদ্ধার, চাঞ্চল্য
বেঙ্গল মিরর , আসানসোল ও অন্ডাল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ ( Andal News Today ) একটি কুয়ো থেকে ইসিএলের নিখোঁজ এক কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার হলো। এই ঘটনায় বুধবার সকালে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্ডাল থানার ইসিএলের কেন্দা কোলিয়ারি কমপ্লেক্স এলাকায়। মৃত কর্মী কেন্দা কোলিয়ারিতে স্টোর ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কর্মরত ছিলেন । মৃত ইঞ্জিনিয়ারের নাম গোদলা ভিথি ভীরাঙ্গনা ইউলু (৩২)। তিনি অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা। বুধবার দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ঐ ইঞ্জিনিয়ারের মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়।
জানা গেছে, গত তিন দিন ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয় লোকজন এলাকার একটি কুয়োর জলে কিছু ভাসতে দেখে অন্ডাল থানায় খবর দেয়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় অন্ডাল থানার পুলিশ। কিন্তু অন্ধকারের জন্য মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুয়োয় কি পড়ে আছে, তা উদ্ধার করার কাজ করা সম্ভব হয়নি। বুধবার সকালে অন্ডাল থানার পুলিশ ও দমকল বাহিনীর সাহায্য ঐ কুয়োর মধ্যে থেকে একটি মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরে তা সনাক্ত করা হয়। এরপর পুলিশ সেই মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠায়। মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখছে অন্ডাল থানার পুলিশ।
এই প্রসঙ্গে মৃত ইসিএলের ইঞ্জিনিয়ারের সহকর্মী আর কে পি সিং জানান, গত ১৮ জুলাই প্রথম শিফটে ডিউটি করেছিলেন গোদলা ভিথি বীরাঙ্গনা ইউলু। তারপর থেকে তিনি যেখানে থাকতেন সেখানে যাননি। রহস্য জনক ভাবে নিখোঁজ ছিলেন। সেই কারণে সবাই তাকে খুঁজতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। রেল স্টেশন, হাসপাতাল সহ আশপাশের এলাকায় খোঁজাখুঁজি করা হলেও কোথাও তাকে পাওয়া যায়নি।
শেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই এলাকার নিরাপত্তারক্ষীরা একটি কুয়োর মধ্যে চপ্পল ভেসে থাকতে দেখেন। তারপর বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ তার দেহ জলে ভেসে উঠে। পরে তা উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, ঘটনার কথা মৃত খনি কর্মীর পরিবারকেও জানান হয়েছে। তারাও এই বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি। পুলিশের অনুমান, ঐ খনি কর্মী হয় কোনভাবে কুয়োর মধ্যে পড়ে যায়, বা তিনি ঝাঁপিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করেছে।