Human Trafficking : তদন্তে সিআইডি, আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ উত্তর ২৪ পরগনার মহেশতলা এলাকা থেকে দিল্লির বদরপুরে ৬ জন মহিলাকে বিক্রি করতে নিয়ে যাওয়ার পথে সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে আরপিএফের মহিলা জওয়ানরা আসানসোলে উদ্ধার করেছিলো। সহিদুল মাইয়া নামে অন্যতম এক পাচারকারীকেও আরপিএফ আটক করে। পরে তাকে রেল পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। দিন কয়েকদিন আগে এই ঘটনা ঘটেছিলো ।
এই চক্রের পাচারকারীদের খুঁজে বার করতে এই মামলার দায়িত্ব আসানসোল রেল পুলিশের কাছ থেকে নেয় রাজ্য পুলিশের সিআইডি। তারপর তদন্ত করতে নেমে সিআইডি আধিকারিকরা দিল্লির বদরপুরে যায়। সেখানে মহঃ জাকির, তার স্ত্রী পারভিনা গাজী সহ তিনজনকে একটি ঘর থেকে গ্রেফতার করে সিআইডি। সেখান থেকে এক নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার আসানসোল আদালতে এই মামলায় সাক্ষী দিতে আসেন পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের আরপিএফের মহিলা সাব ইন্সপেক্টর শুভ্রা দে। সঙ্গে ছিলেন সিআইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা ।
সিআইডির পক্ষে বিশেষ আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ জানান, এই মামলায় তিনজন নাবালিকা সহ মোট ৬ জন মহিলাকে আসানসোল আরপিএফ সম্প্রতি সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেসের ডি ৩ কামরা থেকে উদ্ধার করে। পরে দিল্লির বদরপুর থেকে আরও একজন নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়। জানতে পারা যায়, এই ৬ জনকে উত্তর ২৪ পরগণার মহেশতলা থেকে সাইদুল নাইয়া বলে এক ব্যক্তি চাকরি দেওয়ার নাম করে নিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু ট্রেনের মধ্যে সেই সাইদুল ফোনে কারো সাথে এমন ভাবে কথা বলছিলো, যাতে ঐ ৬ জন বুঝতে পারেন যে তাদের আসলে বদরপুরে বিক্রি করে দেওয়া হবে।
তদন্তে নেমে সিআইডি জানতে পারে দিল্লিতে জাকির ও তার স্ত্রী পারবিনা গাজী ও আরো একজন এই চক্র চালায়। তারা মেয়ে পিছু ১৫ হাজার টাকা করে কমিশন পায়। এদিন আসানসোল আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। যার মধ্যে আরপিএফের সাব ইন্সপেক্টর শুভ্রা দে আরপিএফের জওয়ানদের নিয়ে কিভাবে এই ৬ জনকে ধরে আসানসোল রেল পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলেন তা জানান। আরো তিন দিন বাকিদের এই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে বলে জানা গেছে।