আসানসোল এনডিপিএস কোর্টে প্রথম সাজা ঘোষণা, গাঁজা চোরাকারবারে দোষী সাব্যস্ত দম্পতির
.বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ ( Conviction in NDPS Court Asansol ) আসানসোল জেলা আদালতের এনডিপিএস কোর্ট বা নারকোটিক ড্রাগস এন্ড সাইকোট্রোপিক সাবস্টেন্স আদালত চালু হওয়ার পর প্রথম কোন একটি মামলায় দোষীদের সাজা ঘোষণা করা হলো। বৃহস্পতিবার গাঁজা চোরাকারবারের একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত এক দম্পতির ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ( তৃতীয়) শ্রীময়ী কুন্ডু। বিচারক একইসঙ্গে সাজা ঘোষণার নির্দেশে বলেন, দুজনকে এক লক্ষ টাকা করে জরিমানা দিতে হবে। জরিমানা অনাদায়ে কারাদণ্ডের মেয়াদ আরো এক বছর বাড়বে। সাজাপ্রাপ্ত নাম হলো পাপ্পু আনসারি ও সুভেদা খাতুন। তারা আসানসোলের কুলটি থানার নিয়ামতপুরের মাদ্রাসাপাড়ার বাসিন্দা।
মঙ্গলবার এই দম্পতিকে এক মামলায় এই আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিলো।
এই মামলার সরকারি আইনজীবী বা পিপি সোমনাথ চট্টরাজ বলেন, ২০২০ সালের ১৪ আগস্ট কুলটিতে বাসিন্দা এই দম্পতির বাড়িতে গোপন সূত্রে হানা দেয় পুলিশ। তাদের বাড়ি থেকে সাড়ে ২১ কিলো ৫০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছিলো। কুলটি থানার পুলিশ পাপ্পু আনসারি ও তার স্ত্রী সুভেদা খাতুনকে সেই গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার করে। ধৃত দম্পতির বিরুদ্ধে এনডিপিএস আইনের ২০ ও ২৯ নং ধারায় মামলা করা হয়েছিলো। তারপর তাদেরকে আসানসোল আদালতে আনা হলে তাদের জামিন নাকচ হয়। দম্পতিকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছিলো।
সরকারি আইনজীবী এদিন আরো বলেন, তারপর থেকে তারা জেলেই আছে। এই মামলায় আট জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। আসানসোলের অতিরিক্ত জেলা জজ ও সেশন (তৃতীয় ) শ্রীময়ী কুন্ডু এই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ ও তথ্য প্রমানের শেষে মঙ্গলবার ধৃত দম্পতিকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। এদিন তাদের সাজা ঘোষণা করেন বিচারক। তিনি বলেন, আসানসোলের এনডিপিএস আদালত চালু হওয়ার পর এটাই প্রথম মামলা, যাতে দোষীদের সাজা ঘোষণা করা হলো।