আসানসোলের ৬০ টি ওয়ার্ডে খরচ হবে ২৭৪ কোটি টাকা, আন্ডারগ্রাউন্ড বিদ্যুতের কেবল বসানোর পরিকল্পনা
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ উদ্দেশ্য, গ্রাহকদের কাছে ঝঞ্জাটহীন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা। সেই লক্ষ্য নিয়ে মাটির তলায় বিদ্যুতের তার বা আন্ডারগ্রাউন্ড বিদ্যুৎ কেবল বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া। পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল ও বার্ণপুর শহরের ৬০ টি ওয়ার্ডের জন্য এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে শুক্রবার জানালেন রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের আরএম বা রিজিওনাল ম্যানেজার সঞ্জীত বাগদি।জানা গেছে, এরজন্য খরচ হবে আনুমানিক ২৭৪ কোটি টাকা। এই টাকার মধ্যে ৭০ শতাংশ দেবে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। বাকি ৩০ শতাংশ ব্যয় করবে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই কেবল বসানোর কাজ শুরুও হয়েছে। সেই কাজ শেষ করার টার্গেট নেওয়া হয়েছে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাস। বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকের দাবি, এই সময়ের মধ্যে ৬০ টি ওয়ার্ডে আন্ডারগ্রাউন্ড বিদ্যুৎ কেবল বসানোর কাজ শেষ হয়ে যাবে।
আরো জানা গেছে, এই কাজের জন্য সর্বভারতীয় স্তরে টেন্ডার ডাকা হয়েছিলো। তার মাধ্যমেই
রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগম সূত্রে জানা গেছে, আসানসোল ও বার্ণপুর শহরের যে ৬০ টি ওয়ার্ডে আন্ডারগ্রাউন্ড বিদ্যুৎ কেবল বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, সবমিলিয়ে এই জায়গায় গ্রাহকের সংখ্যা ১ লক্ষ ২৮ হাজার। অন্যদিকে, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের এলটি বা লো- টেনশন বিদ্যুৎ তার আছে ৮, ৮০০ কিলোমিটার। একইভাবে এইচটি বা হাই-টেনশন ও ৩৩ কেভির বিদ্যুৎ তার আছে যথাক্রমে ২.৭০০ ও ৫১৭ কিলোমিটার। রিজিওনাল ম্যানেজার বলেন, রাস্তায় খোলা তার থাকার জন্য অনেক সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে ঝড়বৃষ্টির সময় তার ছিঁড়ে পড়ছে। দূর্ঘটনা ঘটছে। আবার তারে যাতে গাছের ডাল ভেঙে না পড়ে, সে কারণে, মাঝে মধ্যেই এলাকায় এলাকায় তা কেটে ফেলতে হচ্ছে। তারজন্য প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ খরচ করতে হচ্ছে। খোলা তার থাকার জন্য বলতে গেলে প্রতি বছর মোটা টাকা রক্ষনাবেক্ষন সহ সবমিলিয়ে খরচ করতে হচ্ছে। সর্বোপরি বিদ্যুৎ অপচয় বা লাইন লস হচ্ছে। সবকিছুর পরে, গ্রাহকদের সন্তুষ্ট করা যাচ্ছে না। তার কারণ প্রাকৃতিক দূর্যোগ বা অন্য কারণে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হচ্ছে।
রিজিওনাল ম্যানেজার আরো বলেন, আন্ডারগ্রাউন্ড বিদ্যুৎ কেবল বসানোর পরে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য যে সাব স্টেশন আছে, সেখান থেকে আমরা ” অটোমেশন ” করতে পারবো। যার অর্থ, কোন জায়গায় বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে গেলে, বিকল্প ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবো। সবমিলিয়ে বলা যেতে পারে , গ্রাহকদের কাছে রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগম ভালো বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে পারবো। গ্রাহকরা সবদিক থেকে উপকৃত হবেন। তারা যে, টাকা দিয়ে বিদ্যুৎ কেনেন, তার জন্য তাদের আর যাই হোক আক্ষেপ করতে হবে না।