ASANSOL

আসানসোলে মিনিবাসের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু, ক্ষতিপূরণের দাবিতে অবরোধ, বিক্ষোভ

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, কাজল মিত্র ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ আসানসোল দক্ষিণ থানার জিটি রোডের চেলিডাঙ্গার কাছে একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের সামনে মিনিবাসের ধাক্কায় এক যুবকের মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়ালো। ঘটনাটি ঘটে সোমবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মহঃ সালাউদ্দিন নামে বয়স ২৬ এর মৃত যুবক আসানসোল উত্তর থানার রেলপারের ধাদকার মউজুড়ির বাসিন্দা। মৃত যুবক পেশায় ফেরিওয়ালা।


এই ঘটনার পরে মৃত যুবকের পরিবারের সদস্য ও এলাকার বাসিন্দারা ক্ষতি পূরণের দাবিতে জিটি রোডের হটন রোড মোড় ও সিটি বাসস্ট্যান্ড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন। সকালে বেশ কয়েক ঘন্টা এই অবরোধ বিক্ষোভের জেরে যান চলাচল ব্যহত হয়। পরে আসানসোল দক্ষিণ থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ কৌশিক কুন্ডু বিশাল পুলিশ বাহিনী এনে পরিস্থিতি সামাল দেন। এরপর পরিবারের সদস্যরা আসানসোল দক্ষিণ থানাতেও যান।


পুলিশ জানায় এদিন ভোর সাড়ে চারটের সময় মহঃ সালাউদ্দিন জিটি রোড দিয়ে হেঁটে আসছিলো। ঠিক তখনই চেলিডাঙ্গার কাছে একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের সামনে আসানসোল গৌরান্ডি রুটের একটি মিনিবাস পেছন থেকে বেপরোয়া ভাবে এসে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায় আসানসোল সিটি বাসস্ট্যান্ডের দিকে। এর ফলে ঐ যুবক গুরুতর আহত হয়। তার সঙ্গে থাকা যুবক মহঃ আসিফ আলি মিনিবাসের পিছু ধাওয়া করে। কিন্তু চালক স্পিড বাড়িয়ে বাস নিয়ে পালায়। আহত সালাউদ্দিনকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।


এরপর এই ঘটনার প্রতিবাদে এলাকার বাসিন্দারা জিটি রোডের হটন রোড মোড় ও সিটি বাসস্ট্যান্ড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাদের দাবি অবিলম্বে বাসের চালককে গ্রেফতার করতে হবে ও মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এলাকার যুবক আরবাজ হাসিম জানা, মৃত যুবক ফেরির কাজ করতো। তার পরিবারে খুব গরীব। তাই আমরা বাস কর্মীদের এ্যাসোসিয়েশনের রাজু আলুওয়ালিয়াকে বলেছি যাতে ঐ বাস চালককে আটক করে, পরিবারের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক ।


খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ যায়। পুলিশের আশ্বাসে ঘন্টা খানেক পর অবরোধ উঠে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা আসানসোল দক্ষিণ থানায় গিয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করে।
পুলিশ জানায়, ময়নাতদন্তের পরে মৃতদেহ যুবকের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বাস আটক করা হয়েছে। পরিবারের ক্ষতি পূরণ দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *